বিগ ব্যাশে রিশাদের দারুণ অভিষেক
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশের লেগস্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। গত মৌসুমে হোবার্ট হারিকেন্স তাকে নিলেও বিপিএলের কারণে না খেলতে পারার আক্ষেপ ছিল। এবারের আসরে হোবার্টের প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হলো রিশাদের। যেখানে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। প্রতিপক্ষ সিডনি থান্ডারের ব্যাটারদের চাপে রেখে ৩ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ১৮ রান।
নিজেদের মাঠে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন হোবার্টের অধিনায়ক নাথান এলিস। যেখানে দুইয়ের অধিক ওভার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল ছিলেন রিশাদ। যদিও ৩ ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে হোবার্টের অন্য বোলাররা সেই মোমেন্টাম শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান তোলে সিডনি থান্ডার।
বিজ্ঞাপন
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ছিল সফরকারী সিডনি। ২ ওভারেই ২৪ রান তুলে ফেলার পর ম্যাথু গিলসকে ফেরান বিলি স্ট্যানলেক। তবে তাদের রানের গতি কমেনি। মাত্র ৪.৪ ওভারেই থান্ডার দলীয় ফিফটি পেয়ে যায়। পঞ্চম ওভারে রিশাদকে না আনলে তাদের রানের অঙ্কটা আরও বড় হতে পারত। সাধারণত পাওয়ার প্লেতে দেখা যায় না টাইগার এই লেগস্পিনারকে, সেই অপ্রচলিত পথে হেঁটে কিছুটা স্বস্তি আসে হোবার্ট শিবিরে। রিশাদ নিজের প্রথম ওভারে দেন ৬ রান।
বিজ্ঞাপন
ইনিংসে সপ্তম ওভারেই ফের আক্রমণে এসে আরও মিতব্যয়ী রিশাদ, এবার দিলেন স্রেফ ৪ রান। মাঝে আরেক ইংলিশ লেগস্পিনার রেহান আহমেদ দেন ৫ রান। দুই লেগস্পিনারের বদৌলতে থান্ডারের রানের দৌড়টা কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখা গেছে। ত্রয়োদশ ওভারে শেষবার বোলিংয়ে আনা হয় রিশাদকে। এবার খরচ করেন ৮ রান। এরপর তাকে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি। তবে দুই স্পিনারই হোবার্টের জন্য লক্ষ্যটা কিছুটা হলেও কম রেখেছেন। থান্ডারের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এ ছাড়া শাদাব খান ৩৪ ও স্যাম কনস্টাস ২৮ রান করেন।
বিপরীতে হোবার্টের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন স্ট্যানলেক। ক্রিস জর্ডান ২ ও নাথান এলিস একটি উইকেট নিয়েছেন। তবে কিছুটা খরুচে বল করেছেন তারা।
এএইচএস