মাস তিনেক আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। অথচ নানা নাটকীয়তায় এখনও সেই ট্রফি সূর্যকুমার-বুমরাহরা ছুঁতে পারেননি। এরই মাঝে গতকাল (রোববার) অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পাকিস্তানি ‍যুবারা। ভারতকে হারানো চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারদের জন্য বড় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান যুব দল দুটির এই লড়াই হয়েছে একেবারে একপেশে। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৩৪৮ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২৬.২ ওভারেই ১৫৬ রানে অলআউট। যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান। শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস তো আছে–ই, প্রতিপক্ষ চিরশত্রু ভারত হওয়ায় সেই আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে।

জাতীয় দলের লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২০২২ সালের পর আর জিততে পারেনি পাকিস্তান। এমনকি বেশিরভাগ ম্যাচই হয়েছে একতরফা। ফলে যুব দলের লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ঘুচল পাকিস্তানের। যেখানে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন দেশটির ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (শেহবাজ শরীফ) প্রতি ক্রিকেটারকে ১০ মিলিয়ন রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩ লাখ) করে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আশা ভবিষ্যতেও এসব ক্রিকেটার দেশকে গর্বিত করবে।’

পাকিস্তানের যুব এশিয়া কাপ জয়ের পর সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে। সেখানে কী কথা হয়েছে তা জানিয়ে সরফরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রশংসা করেছেন। বলেছেন– অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত ক্রিকেট প্রদর্শনী দেখিয়েছে এবং সাফল্য অর্জনে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ছিল ক্লান্তিহীন পরিশ্রম।’ ফাইনালে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সামির মিনহাস ১৭২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন। তবে তার পাশাপাশি মিডল অর্ডারে ৭২ বলে ৫৬ রান করা আহমেদ হুসাইনেরও প্রশংসা করেছেন সরফরাজ।

এ ছাড়া ফাইনালে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আচরণ ‘অনৈতিক’ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘ম্যাচজুড়ে ভারতীয় খেলোয়াড়দের আচরণ ভালো ছিল না এবং দলটির আচরণ ছিল ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনৈতিক। তবে আমরা স্পোর্টসম্যানশিপ বজায় রেখে বিজয় উদযাপন করেছি। কারণ ক্রিকেটে সবসময়ই স্পোর্টসম্যানশিপ রাখতে হবে। ভারত তাই করেছে যা তারা করে।’

এএইচএস