নানা নাটকীয়তা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ (শুক্রবার) থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর শুরু হচ্ছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেরদিন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা বদলে বিসিবির অধীনে নেওয়া হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আসছে আগে থেকেই। এবার শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানি স্পিনার আবরার আহমেদের অনুমোদন ছাড়াই তাকে বিপিএলের নিলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

নিলামের আগে চট্টগ্রাম রয়্যালস সরাসরি চুক্তিতে দেশীয় দুই তারকা শেখ মেহেদী ও তানভীর ইসলামের সঙ্গে পাকিস্তানের লেগস্পিনার আবরারকে দলে ভিড়িয়েছিল। কিন্তু দিন তিনেক আগে আবরারসহ চট্টগ্রামের তিন বিদেশি ক্রিকেটার সরে গেলেন বিপিএল থেকে। বাকি দু’জন হচ্ছেন– আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও শ্রীলঙ্কার নিরোশান ডিকভেলা। প্রথমে বলা হচ্ছিল– বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় থাকায় আবরারকে বিপিএলে খেলতে চাচ্ছে না পিসিবি। কিন্তু এবার জানা গেল ভিন্ন কারণ!

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‍জিও সুপার জানিয়েছে, টুর্নামেন্টটিতে খেলার জন্য আবরারকে সাইনিংয়ের কথা জানায় চট্টগ্রাম রয়্যালস। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলামে নাম অন্তর্ভুক্ত করার আগে তার অনুমোদন নেয়নি। আবরারও জানিয়েছেন, তিনি (বিপিএলে) খেলার ব্যাপারে রাজি হননি। পরবর্তীতে রয়্যালস তাকে অন্য কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের মাধ্যমে রিপ্লেস করার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং সেটি বিসিবিকে জানায়।

এদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে বিসিবিকে পাঠানো এক চিঠিতে চট্টগ্রাম রয়্যালস আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে মালিকানা বুঝে নেওয়ার আহবান জানায়। পরবর্তীতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা নিজেদের অধীনে নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থা। ফলে এখন থেকে চট্টগ্রাম দলের সবকিছু দেখভাল করবে বিসিবি। এমনকি রয়্যালসের স্কোয়াডে বিদেশি ক্রিকেটার ভেড়ানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিপিএলের এই আসরে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার কথা রয়েছে। যেখানে সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছিলেন– সাইম আইয়ুব (সিলেট টাইটান্স), মোহাম্মদ আমির (সিলেট টাইটান্স), উসমান খান (ঢাকা ক্যাপিটালস), খাজা নাফে (রংপুর রাইডার্স), সুফিয়ান মুকিম (রংপুর রাইডার্স), শাহিবজাদা ফারহান (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স) ও মোহাম্মদ নেওয়াজ (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স)। 

এ ছাড়া নিলামে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম (ঢাকা ক্যাপিটালস), তরুণ পেসার ইহসানউল্লাহ (নোয়াখালী এক্সপ্রেস), ব্যাটার কামরান গুলাম (চট্টগ্রাম রয়্যালস) অলরাউন্ডার জাহানদাদ খান (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), হুসাইন তালাত (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), হায়দার আলিরা (নোয়াখালী এক্সপ্রেস) এবং মাজ সাদাকাতও (নোয়াখালী এক্সপ্রেস) দল পেয়েছেন। 

এএইচএস