টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় ব্যাটসম্যানদের খেলা। যেখানে সমর্থকরা অপেক্ষায় থাকেন চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখতে। তবে শুধু ব্যাটসম্যান দিয়েই তো আর ক্রিকেট নয়! সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররাও। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তানভীর ইসলাম, জিয়াউর রহমানরা।

ডিপিএল শেষে বল হাতে রাজত্ব কাদের?

ঢাকা লিগে এবার প্রথম পর্ব, সুপার লিগ আর রেলিগেশন পর্ব মিলে মাঠে গড়িয়েছে সর্বমোট ৮৪টি ম্যাচ। যেখান বল হাতে আধিপত্য দেখিয়েছেন অনেকেই। তবে সফলতার বিচারে বাকিদের থেকে এগিয়ে আবাহনী লিমিটেডের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার ২৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির খাতায় নাম তুলেছেন। এতেই টুর্নামেন্ট সেরা বোলারের পুরষ্কার ওঠে তার হাতে।

কম যাননি জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টস ক্লাবের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিও। ধারাবাহিকভাবে বল করে গেছেন টুর্নামেন্ট জুড়ে। এর পুরষ্কারও পেয়েছেন। ডিপিএল ২০১৯-২০ মৌসুমে সাইফউদ্দিনের থেকে ১২ ওভার কম হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট কম অর্থাৎ ২৫ উইকেট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক এই ডানহাতি পেসার।

তালিকার বাইরে থাকলেও আলো ছড়িয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল ইসলাম। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ১৬ উইকেট দখল করেছেন তিনি। গাজী গ্রুপের মহিউদ্দিন তারেক, প্রাইম ব্যাংকের নাহিদুল কিংবা শেখ জামালের সালাউদ্দিন শাকিল, ব্রাদার্সের আলাউদ্দিন বাবুরাও কম যাননি।

পুরো টুর্নামেন্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন ৪ জন বোলার। সালাউদ্দিন শাকিলের সঙ্গে তালিকায় নাম আছে মোহামেডানের রুয়েল মিয়া, প্রাইম ব্যাংকের মুস্তাফিজুর রহমান আর ওল্ড ডিওএইচএসের পার্ট টাইমার আনিসুল ইসলাম ইমনের। মৌসুমের একমাত্র হ্যাটট্রিকটি এসেছে আলাউদ্দিন বাবুর হাত ধরে। 

অন্তত ২০ ওভারের উপর বল করেছেন এমন বোলারের তালিকা করলে বল হাতে সবচেয়ে বেশি কৃপণ ছিলেন শাইনপুকুরের তানভীর ইসলাম। ওভার প্রতি ৪.৭৯ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি। প্রাইম দোলেশ্বরের শরিফউল্লাহ দিয়েছেন ৫.৩৫ গড়ে রান। নাসুম আহমেদ, হাসান মুরাদ, রাজিবুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া, অলক কাপালি, আরাফাত সানিরাও ওভার প্রতি ৬ এর নিচে রান খরচ করেছেন।

সফলতা যেমন আছে, তেমন বল হাতে দু’হাতে রান খরচের নজিরও কম নয়! ব্রাদার্সের সুজন হাওলাদার এদিক বিবেচনায় সবার থেকে এগিয়ে। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ম্যাচে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৫ রান খরচ করেন তিনি। এই তালিকায় তিনবার নাম তুলেছেন মোহামেডানের পেসার আবু হায়দার রনি। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫৪, শেখ জামালের বিপক্ষে ৫৩ আর আবাহনীর বিপক্ষে ৫০ রান দেন তিনি। আরও ৪ জন বোলার ম্যাচে পঞ্চাশের উপর রান দিয়েছেন।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ১০ বোলার-

ক্রমিক   নাম  ইনিংস ওভার  উইকেট ইনিংসে পাঁচ উইকেট
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন   ১৬  ৬০.৩  ২৬    ০
কামরুল ইসলাম রাব্বি   ১৬   ৪৮.৩  ২৫
শরিফুল ইসলাম          ১৬        ৫৪.৫ ২২ ০  
তানভীর ইসলাম          ১০ ৩৯  ২০
শেখ মেহেদী হাসান            ১৫ ৪৯ ১৮    ০ 
 জিয়াউর রহমান             ১৩  ৪৩ ১৮  
মেহেদী হাসান রানা     ১১   ৩৮  ১৮   ০ 
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ               ১৪    ৪১  ১৭    ০ 
 রুবেল হোসেন              ১১  ৩৯.৫  ১৭ ০  
১০ মুস্তাফিজুর রহমান              ১৩    ৪২.৫ ১৭

                    

টিআইএস/এমএইচ/এটি