ঝোড়ো পোলার্ড, ক্যারিয়ার-সেরা ব্রাভো, সিরিজে সমতা উইন্ডিজের
১৮ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে রান ১২৪। এ অবস্থা থেকে রান আর কতোই হবে ২০ ওভার শেষে? পরের দুই ওভারে সেটাই গিয়ে ঠেকল ১৬৭-তে। শেষের এই ঝড়ের কুশীলব কাইরন পোলার্ড শুধু দলের রানের গতিই বাড়িয়ে দেননি, মহামূল্য ‘মোমেন্টাম’টাও নিয়ে এসেছিল উইন্ডিজের পক্ষে। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার টুটি চেপে ধরেছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। তাতে ম্যাচটা ২১ রানে জিতে উইন্ডিজ ২-২ সমতা ফিরিয়েছে সিরিজে।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু শুরুতে সিমন্সের ঝড় সেটা ভুলই প্রমাণ করতে বসেছিল। পাওয়ার প্লেতে তার ১৯ বলে ৪১ এ ভর করে ৫৭ রান তুলে ফেলে স্বাগতিক উইন্ডিজ। তবে এরপরই যেন নিরবতা নামল গ্রানাডা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ছয় ওভারে ষাটের কাছাকাছি রান করা দলটাই কিনা পরের ৪৩ টা রান করতে খেলে ফেলল ১৬তম ওভারটা! পুরো কৃতিত্বটাই অবশ্য জর্জ লিন্ড ও তাবরাইজ শামসির। দুইজনে মিলে আট ওভারে রান দিয়েছেন মোটে ২৯!
বিজ্ঞাপন
তাদের ওভার শেষ হতেই শুরুর প্রলয়নাচন আবার ফিরল শেষ চার ওভারে। তার পুরো কৃতিত্ব অবশ্যই পোলার্ডের। প্রথম ১১ বলে অবশ্য তিনিও খেলেছেন বেশ রয়েসয়ে। ১১ বলে ৭ রান করা তিনিই কিনা ইনিংস শেষ করলেন ২৫ বলে ৫১ রান নিয়ে। ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে কাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিডির ওপর দিয়ে। রাবাদার করা ১৯ নম্বর ওভারে তিনি তুলেছেন ২৫ আর লুঙ্গির করা শেষটায় ১৮ রান। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি জমা হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের স্কোরবোর্ডে।
জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় পাঁচ বছর পর বল করতে এসে উইন্ডিজকে শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেন গেইল। সে ধাক্কা আর সামলেই উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিরোধ যা গড়েছিলেন, এক কুইন্টন ডি ককই। আগের তিন ম্যাচেও ভালো পারফর্ম করা এই ব্যাটসম্যান করেন ৪৩ বলে ৬০ রান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে তার উইকেট হারানোর পর পথও হারায় দলটি। শেষে কাগিসো রাবাদা একটা চেষ্টা করেছিলেন ১২ বলে ১৬ রান করে। কিন্তু দল ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি। ফলে ২১ রানের হারই কপালে জোটে তাদের।
তবে তাদের এই হারের পেছনে বড় কারণ ব্রাভোর। ১৯ রানে তিনি শিকার করেছেন ৪ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার-সেরাও। তাতে ভর করেই সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে উইন্ডিজ কাল শনিবার রাতে দুই দল সিরিজের শেষ ম্যাচটা খেলবে দুই দল।
এনইউ