সাকিব-তামিমদের জন্য আসছে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট
ছবি: সংগৃহীত
এতো দিন বিপ টেস্টেই বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল পরীক্ষা করা হলেও সে ধারা ভাঙছে উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশের শারীরিক পারফর্ম্যান্সের প্রধান নিক লি জানিয়েছেন, এখন থেকে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট দিয়েই নির্ধারিত হবে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের ফিটনেস।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল এতোদিন এর সঙ্গে পরিচিত থাকলেও বাংলাদেশ আস্থা রেখেছিল বিপ টেস্টেই। এ ধারা থেকে এবার সরে আসার কারণ অন্য সব দলের ইয়ো-ইয়ো ব্যবহার, জানান লি। ক্রিকবাজকে সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘এর পেছনে অনেক কারণ আছে। একটা হচ্ছে, অন্য দশ জাতীয় দল ইয়ো-ইয়োকে তাদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আর তাই আমার জন্যে কিংবা অন্যসব দলের ট্রেইনার, যারা এখানে ভবিষ্যতে কাজ করতে আসবেন, তারা অন্যসব দলের সঙ্গে এখানকার খেলোয়াড়দের পার্থক্যটা সহজে ধরতে পারবেন। আমি যতদূর জানি, কেবল একটা দল আছে শীর্ষ দশ দলে, যারা ইয়ো-ইয়ো ব্যবহার করে না। আর এটা ব্যবহার করার পর আমরা এখন নিজেদের সঙ্গে ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো দলের তুলনা যথাযথভাবে করতে পারব। নির্বাচকদেরকে আমাদের প্রতিবেদনটা ঠিকঠাক দিতে পারবো।’
বিজ্ঞাপন
আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। বিপ টেস্টে খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষার উদ্ভবও সেখান থেকেই। কিন্তু একে আরও বেশি অ্যাথলেটিক করে তোলে এরই একটা বিশেষায়িত রূপ ইয়ো-ইয়ো টেস্ট, অভিমত নিক লির।
‘ইয়ো-ইয়ো আরও বেশি অ্যাথলেটিক ক্ষমতার দিকে মনোযোগী, এটা খানিকটা দ্রুত, বিরতিহীন আর খেলাধুলার সঙ্গে মানানসই বেশি কারণ এটা দ্রুতগতির, যেখানে বিপ টেস্টে কেবল বায়বীয় পরিস্থিতির উপরেই মনোযোগ দেয়া হয়।’
নিক লি, শারীরিক পারফর্ম্যান্স বিভাগের প্রধান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
বিজ্ঞাপন
ইয়ো-ইয়ো কার্যকরী না হলে বিপ টেস্টে ফিরে যেতেও প্রস্তুত নিক লি। তবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ইতিবাচক মানসিকতায় সন্তুষ্ট দলের ট্রেনার। লির ভাষ্য, ‘এই মূহুর্তে আমি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি কখনো কোনো কিছুতেই না বলি না, যদি এটা কাজ না করে তাহলে অন্য পদ্ধতিও ব্যবহার করতে প্রস্তুত আমি। কিন্তু ক্রিকেটাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি তাদের দোষ খুঁজে পাইনি। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, ভালো স্কোর করার প্রয়াসটা আছে, আর ব্যাপারটা অব্যহত আছে।’
এনইউ