ভিন্ন দুই সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে টাইগারদের। আর সিরিজ বাঁচাতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে জিম্বাবুয়েকে। আগেই টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অন্তত তৃতীয় ম্যাচে নিয়ে যেতে চাইবে সিকান্দার রাজার দল।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ওয়েসলে মাধেভেরের ফিফটির সঙ্গে ডিও মেয়ার্সের ২৬ ও রায়ান বার্লের ৩৪ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচ জিতে টেস্ট ও ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন এখন ১৬৭ রান।

বাংলাদেশের হয়ে এদিন বোলাররা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই ফরম্যাটে একাধিক সিরিজ থাকায় দলের প্রায় সব বোলারকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরখ করে নিচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ (শুক্রবার) সফরকারীদের হয়ে হাত ঘুরিয়েছেন ৭ জন। অভিষেকের স্বাদ পাওয়া তরুণ অলরাউন্ডার শামীম পাটোয়ারীও বল হাতে নিয়েছেন। তবে উইকেটের দেখা পাননি তিনি।

সফরকারীদের হয়ে ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া শেখ মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট পান।

ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে টস ভাগ্য কথা বলে স্বাগতিকদের পক্ষে। এতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবেননি অধিনায়ক সিকেন্দার রাজা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে ফেরান টাইগার স্পিনার শেখ মেহেদী। মারুমানি আউট হন ৩ রান করে। এরপর ওয়েসলে মাধেভেরে ও রেগিস চাকাভার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় জিম্বাবুয়ে।

এই পার্টনারশিপ ভাঙতে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারেই পাঁচজন বোলারকে ব্যবহার করেন মাহমুদউল্লাহ। ফল আসে ষষ্ঠ ওভারে। নিজের প্রথম ওভার হাত ঘোরাতে এসেই দ্বিতীয় বলে চাকাভাকে তুলে নেন সাকিব। শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন চাকাভা। ৪২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর নতুন ব্যাটসম্যান ডিওন মেয়ার্সকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নেন মাধেভেরে। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।

তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৫৫ রানের পার্টনারশিপের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ পান মাধেভেরে। ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে নিজের ৫৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার আর ৩টি ছয়ের মারে। ফেরেন শরিফুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে। তার আগেই অবশ্য সাজঘরের পথ ধরেন মেয়ার্স (২৬) ও রাজা (৪)।

শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বার্লে। তার অপরাজিত ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের সাহায্যে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে জিম্বাবুয়ে। 

টিআইএস