শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যেখানে ‘অলিম্পিক লরেল’ নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে ভার্চুয়ালি তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন ইউনূস। পাঁচ বছর আগে অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দেওয়া শুরু করে আইওসি। ২০০৬ সালে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য কমানোর স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল পান তিনি। 

সংস্কৃতি, শিক্ষা ও শান্তিতে প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য এই সম্মাননা দেওয়া শুরু করে তারা। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হয় কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপ কাইনোকে। 

মাত্র দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে অলিম্পিক লরেল পেলেন ইউনূস। এই সম্মাননা পেয়ে নিজে অভিভূত বলে জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভ্যারিফায়েড পেজে অনুভূতির কথা জানিয়েছেন এই বাংলাদেশি।

তিনি লিখেছেন, ‘অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সম্মানিত ও অভিভূত। এটা খুব দুঃখজনক আপনাদের সঙ্গে টোকিওতে থাকতে পারিনি। আইওসি খেলার সামাজিক প্রসার বাড়ানোকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আপনারা অ্যাথলেটরা পৃথিবী বদলানোর নেতৃত্ব দিতে পারেন।’ 

অ্যাথলেটদের প্রতি নিজের আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘পৃথিবীকে এইসব বিষয়ে শূন্যে নিয়ে আসতে পারেন আপনারা- শূন্য কার্বন নিঃসরণ, সম্পদ কেন্দ্রিভূত করে দারিদ্রতা বাড়ানো শূন্য করা এবং বেকারত্ব দূর করতে সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি ছড়িয়ে দিয়ে সহায়তা করতে পারেন।’

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

এমএইচ/এটি