বাংলাদেশের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলানোর সিরিজ
বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়
সরাসরি : টি-স্পোর্টসে
কাছ থেকে দেখা। ক্রিকেট তো ছিল এমনই। ক্রিকেটারদের অনুশীলন অন্তত সাংবাদিকদের জন্য কাছ থেকে দেখা ছিল নিয়মিত দৃশ্য। কিন্তু দৃশ্য যদি একই থাকবে তাহলে আর ‘করোনাকাল’ হবে কেন! নতুন বাস্তবতা ক্রিকেটকেও মুক্তি দেয়নি- সবচেয়ে বড় প্রমাণটা বোধ হয় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ।
এমনিতেই তাদের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, তাও আবার পাঁচ ম্যাচের। তার ওপর দলটার নাম অস্ট্রেলিয়া। আগ্রহ, কাছ থেকে দেখা, কৌশল জানার চেষ্টা, সবই তো থাকার কথা। কিন্তু কীসের কী, করোনা মাঠ থেকে এমনিতেই দূরে সরিয়ে দিয়েছিল সাংবাদিকদের। অস্ট্রেলিয়া এসে যেন আরও বেশি।
বিজ্ঞাপন
তবে একটা সম্ভাবনা কিন্তু খুবই কাছে নিয়ে এসেছে। এখনো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটাও ম্যাচ জেতা হয়নি টি-টোয়েন্টিতে। বাড়াবাড়ি জেনেও এবার অনেকে স্বপ্ন দেখছেন একেবারে সিরিজ হারিয়ে দেওয়ার! তাতে করোনার দায় না দেওয়াটা 'অকৃতজ্ঞতা'ই হবে। অজিদের বড় তারকারা 'ছুটি' নিয়েছেন তো অদৃশ্য ভাইরাসে বদলে যাওয়া নিয়ম কানুনে যাতে 'মানসিক যন্ত্রণা' না বাড়ে, এই কারণেই।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ অনেকটা ‘অনভিজ্ঞ’, অন্তত এতটুকু রাখঢাক না রেখেই বলা যায়, তারকা কেউ নেই। তাতে স্বস্তি তো মিলছেই। তবে অজিদের বোলিং বেশ ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে। মিচেল স্টার্কই থাকবেন তার নেতৃত্বে, হ্যাজলউড, অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পারা তো আছেনই।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও অবশ্য ‘সেরা’রা নেই। অনেকদিন ধরেই টি-টোয়েন্টি না খেলা তামিম ইকবালকে হিসাবের বাইরে রাখলেও। মুশফিকুর রহিম নেই, নেই লিটন দাসও। এই দুইজনই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মুশফিকুর রহিম।
তবে এতে সুযোগ মিলেছে তরুণদেরও। আফিফ যথেষ্ট সময় ব্যাট করার সুযোগ না পাওয়ায় অনেকের আফসোস ছিল। শামীম পাটোয়ারী মাত্রই দলে এসেছেন, তবে দায়িত্ব যে নিতে পারেন সেটা প্রমাণ করতে পারেন চাইলে এই সিরিজেই। টাইগারদের ব্যাটিংয়ে অবশ্য বড় দায়িত্বটা নিতে হবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই। দলে অভিজ্ঞ তো তারাই।
উইকেটও বড় চ্যালেঞ্জ সফরকারীদের জন্য। এমন উইকেটে তো সাধারণত তারা অভ্যস্ত নন। তবে স্টার্কের মানের বোলাররা আগুন ঝরাতে পারেন যেকোনো উইকেটেই। বাংলাদেশের জন্য অবশ্য সবকিছুই চেনা। এখন কেবল ঠিকঠাক প্রয়োগের অপেক্ষা।
তারা কী বলেন
টি-টোয়েন্টি সংস্করণই এমন, নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেললে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব। র্যাঙ্কিংয়ে তারা যত ওপরের দলই হোক। ওদের কয়েকজন ক্রিকেটার আসেনি। আমরাও তেমনি কয়েকজনকে মিস করছি, তামিম-মুশফিক-লিটন নেই। আমাদের দলের জন্য ও প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য বড় সুযোগ আমাদের মান দেখানোর। আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে ঘরের মাঠে আমরা ভালো দল এবং এটা দেখানোর চেষ্টা করব এবারও।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অধিনায়ক, বাংলাদেশ
অবশ্যই আমরা এই সিরিজ জিততে চাই। প্রতিটি ম্যাচই আমরা সবসময় জিততে চাই। তবে এটা একটা সুযোগ সবাইকে দেখার যে বিভিন্ন ভূমিকায় তারা কেমন করছে, যাতে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় বোঝা যায় কোন ভূমিকায় কে কেমন করছে। সেই সুযোগটি নিতে সবাই রোমাঞ্চিত। নানা জায়গায় নিজেদের তুলে ধরতে মুখিয়ে থাকবে অনেকেই।
ম্যাথু ওয়েড, অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া
পরিসংখ্যান কী বলে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই বিশ্বকাপের মঞ্চে। চারটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ম্যাচটি ছিল ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
একাদশ কেমন হতে পারে
সম্ভাব্য একাদশ, বাংলাদেশ
সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ/শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর
সম্ভাব্য একাদশ, অস্ট্রেলিয়া
ম্যাথু ওয়েড, ফিলিপে, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি, হ্যানরিকস, ম্যাকডরমট, ক্রিশ্চিয়ান, অ্যাগার, জাম্পা, স্টার্ক, হ্যাজলউড
এমএইচ/জেএস