ছবি: সংগৃহীত

করোনার মধ্যে প্রথমবার আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এজন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরিতে বাড়তি সতর্ক বোর্ড। সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনেই বাংলাদেশে খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। কিন্তু সফরে আসার পর করোনা ধরা পড়েছে সফরকারী দলের খেলোয়াড় হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের শরীরে। তবে সুরক্ষা বলয়ে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় বিসিবি।

করোনার শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ছিল বিসিবি। সময় নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে নিজেরা। ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজনের আগে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছে। এজন্য শুরুতে ৩ দল নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর ৫ দল নিয়ে বড় পরিসরে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বিসিবি।

সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উইন্ডিজ সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিসিবি। এজন্য উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে একটি করোনা প্রটোকল তৈরি করেছেন। ক্যারিবীয়রা বাংলাদেশে খেলতে আসার আগে ১১ দিনে চারবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। সেখানে একমাত্র ডানহাতি বোলার রোমারিও শেফার্ড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তাকে রেখেই সফরে এসেছে উইন্ডিজ দল।

বাংলাদেশে এসে শুরুর ৪ দিনে দুবার করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয় উইন্ডিজ দল। শুরু পরীক্ষায় সাপোর্ট স্টাফ-সহ স্কোয়াডের ৪৭ সদস্যের সবার ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ৪৬ জনের ফল নেগেটিভ আসলেও স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেল্ফ আইসোলেশনে আছেন ওয়ালশ। যদিও বাংলাদেশ সফরে এসে শুরু থেকেই হোটেল বন্ধি তিনি। আছেন আলাদা রুমে।

ওয়ালশের করোনা আক্রান্তের খবরে কতটা চিন্তিত বিসিবি? এনিয়ে বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা পোস্টকে দেবাশীষ বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত না। ওয়ালশের পজিটিভ হওয়ায় খবরে আমাদের বাড়তি কোনো ভাবনা নেই। আমরা আমাদের প্রটোকল মেলে চলবো। এটি নিয়ে চিন্তিত বা বাড়তি ভাবনার কারণ নেই।’

দেবাশীষ আরো জানান, ‘ওয়ালশ বাংলাদেশে এসে কোয়েরেন্টাইনে আছে। এখানে হোটেলে সবাই আলাদা আলাদা রুমে অবস্থান করছে। সেও আলাদা আছে। এজন্য ভাবনার কারণ দেখছি না আমরা। আমি দুই বোর্ড মিলে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।’

এবার বাংলাদেশ সফরে অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়ে এসেছে উইন্ডিজ। সেখানে স্পিন বিভাগে পরীক্ষিত ছিলেন ওয়ালশ। তার উপর ছিল দলের বাড়তি দায়িত্ব। স্বাভাবিকভাবে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে সফরকারীরা ওয়ালশের সার্ভিস পাবে না।

তার ফেরার প্রক্রিয়াটা ঠিক কেমন হবে, শেষদিকের ম্যাচগুলোতে কি পাওয়া যাবে ওয়ালশকে? দেবাশীষ জানান, ‘প্রটোকল অনুযায়ী ওকে এখন ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর দুইবার টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে তবেই মাঠে নামতে পারবে। সেই হিসবে তো ওয়ানডে সিরিজে ওর থাকার সম্ভাবনা নেই।’

উইন্ডিজ দলের মিডিয়া ম্যানেজার ড্যারিও বার্থলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘ওয়ালশ শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছে। বর্তমানে সে তার নিজের কক্ষে আইসোলেশনে রয়েছে। তার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। স্কোয়াডের বাকি সদস্যরা শুরু থেকেই তার থেকে আলাদা রয়েছে।’

টিআইএস/এটি