মিরপুরে এখন ১০০ রান করতে চায় নিউজিল্যান্ড
প্রথম ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড/ক্রিকইনফো
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পরিষ্কার ফেভারিট বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ সেটিই জনিয়ে দিল। নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে অলআউট করে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৪ সালের পর আবার নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এতো কম রানে অলআউট হওয়ায় লজ্জায় পড়তে হলো কিউইদের। ম্যাচ হারের পর সফরকারী দলের কোচ জানালেন, আর ২৫ রান করতে পারলে লড়াই জমতো বেশ।
এর আগে টাইগার ডেরায় পা রেখে কুপোকাত হয় অজিরা। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে ৪-১ ব্যবধানে। এই ৫ ম্যাচে ১২১ এর বেশি দলীয় সংগ্রহ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের শেষ ম্যাচে তো গুটিয়ে যায় মাত্র ৬২ রানে, যেটি নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ অজিদের। তবে এই এক ইনিংস বাদ দিলে প্রতি ম্যাচেই দুই দলের সংগ্রহ ১০০ পার হয়েছে। সে লক্ষ্য নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিল কিউইরা। তবে সফল হয়নি তারা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচ হারের পর নিউজিল্যান্ড দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ গ্লেন পোকনাল জানালেন, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান মাথায় নিয়েই খেলতে নেমেছিল তারা। তবে উইকেটে ব্যাট করতে নেমে মনে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান বেশিই ছিল।
পোকনাল বলছিলেন, ‘আমাদের মাথায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান ছিল। কিন্তু এই উইকেটে মনে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান বেশিই ছিল। দুই দলের জন্যই কঠিন ছিল। আমরা যদি ২৫ রান বেশি করতাম তাহলে ম্যাচটা জমে উঠত। ব্যাটসম্যান যারা আছে তাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে ভালো কিছুই করতে পারব।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে এসে নিউজিল্যান্ডের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র জানিয়েছিলেন, ওভার প্রতি ৬ রানে চোখ তাদের। দলীয় সংগ্রহ ১৩০ ছাড়ালেই জেতা সম্ভব। তবে প্রথম ম্যাচে অর্ধেক পথেই থামতে হয়েছে তাদেরকে। এবার ১৩০ না হলেও অন্তত নিজেদের স্কোর ১০০ ছাড়ানোর লক্ষ্য কিউইদের, পোকনাল বিশ্বাস রাখছেন নিজ দলের স্পিনারদের উপর।
পোকনাল জানান, ‘দুই দলই বোলিং ভালো করেছে। দুই দলেই স্পিনার ভালো। পেসাররা স্লোয়ার বলের ভালো ব্যবহার করেছে। সেদিক থেকে দুই দলের বোলিংকে কাছাকাছিই মনে হয়েছে। এটাই এখন চ্যালেঞ্জ, কিভাবে আমরা ১০০ রানে যেতে পারি। আমার মনে হয় আমরা পারব।’
টিআইএস/এটি/এনইউ