বাংলাদেশে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার। পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছেন তারা।

অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে বাংলাদেশে এসেছে আফগানিস্তান যুবাদের এই দলটি। দুই ধাপে গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন তারা। পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় পা রাখে আফগান যুব দল। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে সিলেট গিয়েছে দলটি। সেখানে ৩ দিনের রুম কোয়ারেন্টাইন চলছে সফরকারীদের। 

সিরিজের আগে রুটিন পরীক্ষায় আফগান তিন ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগের একটি সূত্র। সে সূত্র থেকে জানানো হয়, ‘আজ (মঙ্গলবার) আফগানিস্তান যুব ক্রিকেট দলের স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট আর ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে তিনজনের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তারা প্রটোকল অনুযায়ী হোটেলেই আইসোলেশনে আছে।’

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির ক্রিকেট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে সফরে আসার কথা ছিল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। তবে ভিসা জটিলতায় এই সফর পিছিয়ে যায়।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। সবগুলো খেলা হবে সিলেটে। সিরিজ শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ওয়ানডে দিয়ে। ৫ ওয়ানডের পর ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হবে চার দিনের ম্যাচ। 

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড : সুলিমান আরবজাই, সুলিমান সাফি, বিলাল সায়েদী, বিলাল আহমেদ তারিন, কামরান হোটাক, নানগেয়ালিয়া খান, ইয়ামা আরব, ফয়সাল খান আহমেদজাই, মোহাম্মদ ইশাক জাজাই, ইজাজ আহমেদ আজাদ, জাহিদুল্লাহ সালিমি, মোহাম্মদউল্লাহ নাজিবউল্লাহ, ইজাজ আহমেদ আহমেদজাই, ইজহারউল্লাহ নাভিদ, শহীদ হাসানি, সাবাউন বানুরি, বিলাল সামি, মোহাম্মদ নাভিদ জাদরান ও আল্লাহনুর নাসেরি।  

আফগান যুবাদের বাংলাদেশ সফরের সূচি-

১ম ওয়ানডে- ১০ সেপ্টেম্বর
২য় ওয়ানডে- ১২ সেপ্টেম্বর
৩য় ওয়ানডে- ১৪ সেপ্টেম্বর
৪র্থ ওয়ানডে- ১৭ সেপ্টেম্বর
৫ম ওয়ানডে- ১৯ সেপ্টেম্বর
একমাত্র চারদিনের ম্যাচ- ২২-২৫ সেপ্টেম্বর

টিআইএস/জেএস