ক্রিকেটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও দর্শকবান্ধব করতে বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এর একটি প্রতি মাসের সেরা পারফর্মার বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করা। আইসিসির সেপ্টেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে নেপালের সন্দ্বীপ লামিচানে ও যুক্তরাষ্ট্রের জাসকারান মালহোত্রার সঙ্গে নাম এসেছে বাংলাদেশের নাসুম আহমেদের। এই সম্মাননার অর্থ বুঝতে পারছেন না টাইগার স্পিনার।

মাসসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেয়ে ওমান থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় নাসুম বলেন, ‘আসলে বিষয়টা আমিও জানতাম না। কাল (বুধবার) অনুশীলনের পর হোটেলে গিয়ে জেনেছি। আমি বিষয়টা বুঝিও নাই যে জিনিসটা কী। অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি, মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে বেশি কথা বলেছি। যে ভাই এটা কী বা এই সেই। তো উনি বলল যে তোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, এখন সবাই ভোট দেবে। এরপর তুই বেশি পেলে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ দেবে।’

এর আগে বাংলাদেশ থেকে মাস সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে মুশফিক আছেন নাসুমের সঙ্গে ওমানে। তার কাছ থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন পুরো প্রক্রিয়াটা। নাসুম এটা বুঝতে পারছেন সম্প্রতি ভালো করার ফল এটি, ‘আমি এখনো বুঝে উঠতে পারছি না জিনিসটা আসলে। হয়তো এটা অনেক সম্মানের বিষয়। শেষ সিরিজগুলো ভালো খেলেছি, হয়তো তার পুরস্কার।’

নাসুম মনোনয়ন পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়। গেল মাসের শুরুতে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এই সিরিজে নাসুম খেলেছেন পাঁচ টি-টোয়েন্টিতেই, শিকার করেছেন ৮ উইকেট। তবে তার ইকোনোমি ছিল যথেষ্ট ভালো। দলের ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

নাসুম নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলেন এভাবে, ‘পারফর্ম যেকোনো জায়গায় করলে পরের ধাপের জন্য ভালো হয়। আমি প্রত্যেকটা ম্যাচই মনে করি আজকে পারফর্ম করলে কালকেরটা আরও ভালো হবে। ওই দুটা সিরিজ খুব ভালো করেছি, দলের জন্য কিছু করতে পেরেছি। অবশ্যই এটা বিশ্বকাপে খুব ভালো সমর্থন ও আত্মবিশ্বাস দেবে।’

সঙ্গে যোগ করেন নাসুম, ‘অনেক বেশি চিন্তা করাও উচিত না। আমার একটাই ভাবনা আমার স্পেলে যেন সাত আটটা বল ডট দিতে পারি। আমার এটাই লক্ষ্য। আমি এত কিছু নিয়ে চিন্তাও করি না। আমার একটাই চিন্তা ডট বল করা। এখন ডট বলের জন্য কী করা লাগবে ওটাই এপ্লাই করবো মাঠে ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে।’

টিআইএস/এমএইচ