এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলার অভিজ্ঞতা নেই তার। টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে সেই বাবর আজমের অভিষেক হচ্ছে এবার, তাও আবার দলের অধিনায়ক হিসেবে। প্রথম ম্যাচে কাদের মুখোমুখি হবেন জানেন? ভারতের, যে দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি হোক, কিংবা ওয়ানডে, কোনো  ফরম্যাটের বিশ্বকাপেই যে কখনো জিততে পারেনি পাকিস্তান। সেই ভারতকেই কিনা প্রথম দেখাতেই হারিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি!

ভারত ম্যাচের আগে চাপটা বেশ। তবে গোটা বিশ্বকাপেও কি চাপটা কম থাকবে দলের ওপর? বাবর জানালেন সেটাই। বললেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচের চাপ, তীব্রতা, বিশেষ করে প্রথম ম্যাচটায় কেমন থাকবে, সেটা আমরা জানি।’

সেই চাপকে জয় করলে তবেই না হাসি ফুটবে অধিনায়ক বাবরের মুখে! বাবর আজম সে আশাতেই বুক বাঁধলেন, ভারতকে হারানোর প্রত্যয় জানালেন। বললেন, ‘আশা করছি, প্রথম ম্যাচটা জিততে পারব আমরা, আর এই ম্যাচে পাওয়া মোমেন্টামটা সামনেও ধরে রাখতে পারব।’

এ আশার পেছনে কারণটাও দেখালেন বাবর। তার কথা, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলের বিশ্বাস, আর আত্মবিশ্বাসটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দল হিসেবে এখন আমাদের আত্মবিশ্বাস আর মনোবলটা বেশ উঁচুতে অবস্থান করছে।’

তবে ভারতকে হারানোর তাড়নাটা অতীতে সব হারের রেকর্ড থেকে আসছে না, জানালেন বাবর। বললেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে নয়, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। আমরা সেজন্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসি যে, আমরা ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছি আর আর সেই দিন ভালো ক্রিকেটই খেলব।’

যে ভেন্যুতে খেলাটা হবে, সেই দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রেকর্ডটাও কথা বলছে পাকিস্তানের পক্ষেই। ২০১৬ সালের পর থেকে ছয় ম্যাচ খেলে এই মাঠে এখনো হারেননি বাবর আজমরা। বাবর অবশ্য জানালেন, কন্ডিশনটা চেনা হলেও নির্দিষ্ট দিনের পারফর্ম্যান্সেই নির্ধারিত হয়ে যাবে ফলাফল। 

বললেন, ‘আমরা আরব আমিরাতে শেষ তিন চার বছর ধরে খেলছি আর আমরা সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে জানি ভালো করেই। সেখানকার উইকেট কেমন আচরণ করবে, ব্যাটারদের কেমন করে মানিয়ে নিতে হবে সব। তবে সেই নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, সেই ম্যাচটা জিতবে। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলব আমরাই জিততে যাচ্ছি।’

সে ম্যাচের আগে বাবর আজমের পাকিস্তান আরও দুটো ম্যাচ খেলবে। ১৮ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুবাইয়ে, আর ২০ অক্টোবর আবুধাবিতে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই ২৪ অক্টোবর ভারতের মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। 

এনইউ