টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই চার-ছক্কার ঝড়। আর সেই লড়াই যদি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার, তাহলে তো ধরে নিতেই হয় উত্তেজনায় ভরপুর একটি ম্যাচ হবে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাট আবির্ভাবের পর ছয়টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ৪টিতেই মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ দেখায় বাংলাদেশের মিরপুরে ইতিহাস গড়ে জিতেছিল ক্যারিবীয়ানরা। আসন্ন বিশ্বকাপে আবুধাবিতে আবারও লড়বে স্মিথ-পোলার্ডরা।  
 
সেই ২০০৯সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আয়োজিত ৪ টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছে অজি ও ক্যারাবীয়ানদের। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মিরপুরে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিলেন ব্রাভো-পোলার্ডরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৯ রানের বিশাল টার্গেট দেয় অজিরা। এই টার্গেট তাড়া করতে হলে ক্যারিবিয়দের গড়তে হবে বিশ্বকাপে রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগে এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি ড্যারেন সামিরা। 

বাংলাদেশের মাটিতে সেই রেকর্ডটায় যেন হাতছানি দিয়েছিল গেইল-পোলার্ডদের। শেষ দুই ওভারে উইন্ডিজদের ৩১ রান প্রয়োজন ছিল জয়ের জন্য। সেই সময় ক্যারিবীয়দের দায়ভার নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি। তার বিধ্বংসী ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে মিরপুরে ইতিহাস রচিত হয়। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০০৯ সালে সর্ব প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজরা। সেবার গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২৫ বল হাতে রেখেই ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে ক্যারবিয়রা। ইউনিভার্স বস ৬ চার ও ৬ ছক্কার মারে ৫০ বলে করেছিলেন ৮৮ রান। 

২০১০ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি ড্যারেন সামিরা। সেন্ট লুসিয়ায় ৬ উইকেটে অজিদের কাছে পরজিত হয় উইন্ডিজরা। 

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় বৃষ্টির কল্যাণে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ম ওভারে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থেকে ১৭ রানে জয় লাভ করে অস্ট্রেলিয়া। 

এই বছর মরুর দেশে ৬ নভেম্বর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই দল। মিরপুরের সেই রোমাঞ্চিত জয় কি আবারো আবুধাবিতে রচিত করতে পারবে ক্রিস গেইলরা?

২০০৭ সাল থেকে সবকয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের হয়ে খেলেছেন টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত ক্রিস গেইল। স্টার্ক ও গেইলের লড়াই দেখতে বিশেষ নজর থাকবে সব ক্রিকেট ভক্তদের। 

এমএফ/এমএইচ