মুশফিককে ফিরিয়ে ক্রিস গ্রিভসের উল্লাস, এর আগে ব্যাট হাতেও দলকে এনে দিয়েছিলেন লড়াকু সংগ্রহ/আইসিসি

বাংলাদেশের স্পিন বিষে তখন ‘প্রায়’ নীল স্কটল্যান্ড। ৫২ রানে নেই ৫ উইকেট। তখনই মাঠে এলেন ক্রিস্টোফার নিকোলাস গ্রিভস। এসে ক্যালম ম্যাকলয়েডকেও দেখলেন বিদায় নিতে। তা দেখে দমে গেলেন না, শুরু করলেন প্রতি আক্রমণ। দলকে এনে দিলেন দারুণ এক সংগ্রহ। এরপর বল হাতেও বাংলাদেশ ইনিংসের মূল্যবান দুটো উইকেট নিলেন ছিনিয়ে, তাতেই মাহমুদউল্লাহর দলকে হতাশায় ডুবিয়ে স্কটিশরা পেল দুরন্ত এক জয়।

পুরো ম্যাচে তিনিই ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেলেছেন বেশি। ম্যাচ পরিস্থিতিতে রান, উইকেট, আর পারফর্ম্যান্স বিচারে ক্রিকইনফোর করা পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচে তার ইমপ্যাক্টটা ছিল ১৩০ এর আশেপাশে। দুইয়ে থাকা শেখ মেহেদী হাসান যেখানে ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেলতে পেরেছেন মোটে ৯৩! দুইয়ের পার্থক্যই বলে দিচ্ছে ম্যাচে কী প্রভাবটাই না বিস্তার করেছেন তিনি। 

তার এমন পারফর্ম্যান্সের ফলে আপনার মনে হতেই পারে, কোনো পোড় খাওয়া পারফর্মারের কাছেই বুঝি হেরে গেছে বাংলাদেশ। তার খেলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচসংখ্যা জানলে অবাকই হতে হবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ব্যাট হাতে নেমেছিলেন তিনি। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আরেকটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি, সে ম্যাচে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি তাকে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেলেছিলেন আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে, ২৭ রানের একটা ইনিংস ছিল সেটা। 

তার মূল কাজটা বোলিং। লেগ স্পিন দিয়ে ব্যাটারদের ঘায়েল করাটাই দায়িত্ব। তাই ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজনটা পড়ে কালেভদ্রে। সেটাই পড়ল আজ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আঙিনায় কোনো অভিজ্ঞতা নেই যার, সেই তিনিই আজ স্কটল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লড়াকু সংগ্রহ। 

১১তম ওভারে এলেন উইকেটে। দারুণ প্রতি আক্রমণে ২৮ বলে খেললেন ৪৫ রানের ইনিংস। মার্ক ওয়াটকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সপ্তম উইকেটে এনে দিয়েছেন ৫১ রানের জুটি, শেষ ৮ ওভারে দলটা যোগ করেছে আরও ৮৫ রান।

এরপর তার মূল কাজ যেটা, সেই বল হাতে তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, আর মুশফিকুর রহিমের গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেট। তাতেই স্কটল্যান্ড পেয়ে গেছে স্মরণীয় এক জয়। 

এনইউ