রিচি বেরিংটন আর ম্যাথিউ ক্রস যখন উইকেটে জমে গিয়েছিলেন, স্কটল্যান্ড তখন পাপুয়া নিউ গিনিকে রানের পাহাড়ে চাপা দেওয়ার স্বপ্নই দেখছিল। কিন্তু শেষে প্রতিপক্ষের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সেটা আর সম্ভব হলো না। শেষ ছয় উইকেট স্কটিশরা হারায় ১০ বলের ব্যবধানে। ফলে নবাগত পাপুয়া নিউ গিনিকে তারা দিতে পেরেছে ১৬৬ রানের লক্ষ্য।

স্কটল্যান্ডের শুরুটা খুব একটা আশানুরূপ ছিল না। দুই ওপেনার কাইল কোয়েটজার আর জর্জ মুনসিকে হারিয়ে কেবল ২৬ রানই তুলতে পেরেছিল দলটি। সঙ্গে ছিল পাপুয়া নিউ গিনির বোলারদের চোখরাঙানিও। 

রিচি বেরিংটন আর ম্যাথিউ ক্রসের প্রতিরোধের শুরু সেখানেই। দুজনে মিলে ১০.৫ ওভারে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৯২ রান। দলও শুরুর নড়বড়ে অবস্থান ছেড়ে ম্যাচের লাগাম হাতে নেয়। ক্রসের ভুল শটে শেষমেশ ইতি ঘটে সেই জুটির। সিমন আতাইয়ের বলে বিদায় নেন ক্রস, তখন অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে ছিলেন তিনি।  

সঙ্গী না পারলেও ফিফটি ঠিকই তুলে নেন বেরিংটন। ফিফটি তো তুলেছেনই, এরপর ১৯ ওভার পর্যন্ত দলকে টেনেছেনও তিনিই। শেষমেশ তার ইনিংস শেষ হয় ৪৮ বলে ৭০ রান করে। 

১৯.২ ওভারে তার বিদায়ের পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্কটিশদের ইনিংস। শেষ দশ বলে ছয় উইকেট হারিয়েছে দলটি, স্কোরবোর্ডে তখন যোগ হয়েছে মাত্র ১৫ রান। তাতে আরও বড় পুঁজি পাওয়া হয়নি দলটির, ১৬৫ রান তুলেই ক্ষান্ত হতে হয় তাদের।

এনইউ/জেএস