পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ম্যাচে কখনোই হারেনি ভারত। হোক সেটা ওয়ানডে, বা টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ, টি-টোয়েন্টিতে ৫ বারের দেখায় সবকটিতে জিতেছে ভারত। তবে আগামীকাল যখন দুই দল আবারও মুখোমুখি হবে, সেসব কোনো অর্থ বহন করবে না আদৌ। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানালেন, বাবর আজমদের হারাতে হলে নিজেদের সেটাই ঢেলে দিতে হবে।

বিশ্বকাপ শেষেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন কোহলি। নিজের অধিনায়কত্বের শেষ টি-টোয়েন্টি আসরে তাই ভালো কিছুই চাইবেন ভারতের অধিনায়ক। তবে তার জন্য টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া উচিত দলের, সে ম্যাচেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে কোহলির দল। 

ইতিহাস কথা বলছে ভারতের পক্ষে। তবে কোহলি এই বিষয়ে মোটেও আগ্রহ দেখালেন না। জানালেন, সেই রেকর্ডের কথা ভাবলে দলের ওপর বাড়তি চাপও চলে আসতে পারে। বললেন, ‘অতীতে আমরা কী অর্জন করেছি, বা আমাদের রেকর্ড কী, এই নিয়ে আমাদের দলে কখনোই আলোচনা করিনি আমরা।’

কোহলি জানালেন, সেসব আলোচনা দলের মনোযোগ নাড়িয়ে দিতে পারে। বললেন, ‘সেগুলো আপনার মনোযোগ অন্য দিকে নিয়ে যায়। যা এখন আমাদের মনোযোগে থাকা উচিত তা হলো আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, ম্যাচে কেমন পারফর্ম করছে। এসব বিষয় বাড়তি চাপ নিয়ে আসে।’

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ রেকর্ড যত বাজেই হোক না কেন, বর্তমান দলটা যথেষ্ট সমীহজাগানিয়া, মনে করছেন কোহলি। তার ভাষ্য, ‘বর্তমান পাকিস্তান দলটা অনেক শক্তিশালী, এমনটা অবশ্য তারা সবসময়ই ছিল। বেশ প্রতিভাবান, এমন কিছু খেলোয়াড় সেখানে আছে, যারা যে কোনো সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

এমন এক দলের বিপক্ষে সাফল্যের পূর্বশর্ত হলো ভালো খেলা। কোহলি সেটাই মনে করিয়ে দিলেন তার দলকে, ‘এমন একটা দলের বিপক্ষে আপনাকে সেরা পরিকল্পনাটা নিয়েই নামতে হবে, সেটার সেরা বাস্তবায়নটাও নিশ্চিত করতে হবে। কাল নিশ্চিতভাবেই আমাদেরকে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’

ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই চারপাশে জল্পনা-কল্পনা, কথার লড়াই; যা দলগুলোর জন্য নিয়ে আসে বাড়তি চাপও। কোহলি অবশ্য একে দেখছেন ভিন্নভাবে, ‘আমার জন্য, এটা আর দশটা ক্রিকেট ম্যাচের মতোই একটা ম্যাচ। হ্যাঁ, স্টেডিয়ামের পরিবেশটা ভিন্নতর হবে, কিন্তু তা আমাদের মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন আনবে না। আমাদের প্রস্তুতি, আর ম্যাচের অ্যাপ্রোচেও কোনো পরিবর্তন আসবে না।’

এনইউ