পাকিস্তানের জন্য সময়টা এর চেয়ে ভালো বোধ হয় হতে পারতো না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে হারিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন বাবর আজমরা। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। কিউই বধ করে মোহাম্মদ হাফিজের টুইটই বলে দেয় ম্যাচটি জিততে কতটা মরিয়া ছিলেন তারা। 

এবারের বিশ্বকাপে বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনে হচ্ছে পাকিস্তানকে। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের শরিরী ভাষায়ও স্পষ্ট বিশ্বকাপই তাদের মূল লক্ষ্য। পাকিস্তান দলের হঠাৎ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার নেপথ্যের গল্পটা জানা আছে সবারই। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই পাকিস্তান সফরে যায় নিউজিল্যান্ড দল। কিন্তু আচমকা এক হুমকি ই-মেইল পেয়ে সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যান কিউই ক্রিকেটাররা। এবার বিশ্বকাপে তাদের হারিয়ে এই জয় হাফিজ উৎসর্গ করলেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।

জয় উদযাপনের সময় শাহিন আফ্রিদির তোলা সেলফি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি ক্যাপশন দেন, ‘এই জয় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে উৎসর্গ করছি।’ এরপর দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সাবাশ। বিশ্বকাপের জন্য পরিশ্রম করে যাও। ইনশাআল্লাহ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলার পর থেকে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল পাকিস্তানে। বোর্ডের অনেক চেষ্টার পর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সাউথ আফ্রিকা সফর করে দেশটিতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মত দলগুলোকে আনা যাচ্ছিল না কিছুতেই। অবশেষে কিউইদের আনতে সমর্থ হলেও এক হুমকি ই-মেইলে শেষ হয়ে যায় সব। এই ঘটনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি।

বিশ্বকাপভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মওকা মওকা’তে এর আগে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে আমরা ছাড়ব না। ওদেরকে হারাতেই হবে।’ রমিজ রাজাসহ অন্যান্য সাবেক গ্রেটরাও বলেছিলেন পাকিস্তানকে খেলা দিয়েই সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। গতকালকের খেলা দিয়েই কি তবে এই অপমানের জবাব দিল পাকিস্তান?  

এআইএ/এমএইচ