ফুটবল কমিটির সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্সের কাছ থেকে গোলরক্ষক কোচের দায়িত্বপত্র নিচ্ছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ছাইদ হাসান কানন

জাতীয় দল ও মোহামেডানের সাবেক তারকা গোলরক্ষক ছাইদ হাসান কানন মোহামেডানের গোলরক্ষক কোচ হয়েছেন। ক্লাবটির অন্যতম পরিচালক ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর কাননকে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নব্বই দশকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার কানন ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতি ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বেশি। গত কয়েক বছর যাবৎ তিনি কোচিংয়ে মনোযোগ দিয়েছেন। এএফসি এ লাইসেন্সের পাশাপাশি নিজ পজিশন গোলরক্ষক কোর্স লেভেল ১ করেছেন। লেভেল ২ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

জানা ও শেখার জন্য কোচিং কোর্স করলেও পেশাদার ভাবে কাজ করেননি কোথাও। এবারই প্রথম পেশাদার কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন নিজ ক্লাবে। হঠাৎ কোচিং পেশায় আসার কারণ ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘মোহামেডান আমার রক্তে। মোহামেডান নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সাবেক ফুটবলাররা আমরা নানাভাবে সক্রিয়। গোলরক্ষক কোচ হিসেবে আমার অবদান রাখার সুযোগ আছে। ক্লাবের প্রয়োজনে তাই দায়িত্ব নিচ্ছি।’ 

ফুটবল জ্ঞান, অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে মোহামেডানের বর্তমান কোচিং স্টাফে সবচেয়ে সিনিয়র ছাইদ হাসান কানন। তার ফুটবল ক্যারিয়ার,সামাজিক অর্জন সব বিবেচনায় এই বয়সে গোলরক্ষক কোচের দায়িত্ব খানিকটা স্বল্পই। এরপরও ক্লাবের স্বার্থে তিনি এতেই খুশি, ‘শেন লী ভালো করছে। আলফাজ, নকীবরা আমার জুনিয়র হলেও ভালোই কাজ করছে। পদটা আমার কাছে মুখ্য নয়, মোহামেডানের পাশে থাকাটাই আসল। না হলে তো আর দায়িত্ব নিতাম না।’ মোহামেডান ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছাড়াও ফুটবল কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তিনি। 

মোহামেডানে দেশসেরা গোলরক্ষক নুরুন্নবী, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, শহিদুর রহমান চৌধুরী সান্টু, ছাইদ হাসান কানন, পনির, আমিনুল, বিপ্লবরা খেলেছেন। বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার ইরানি কোচ নাসির হেজাজীও সাদা কালো জার্সিতে খেলেছেন। গত কয়েকবছর মোহামেডানে কোনো তারকা গোলরক্ষক খেলেননি। এই নিয়ে আক্ষেপ কাননেরও, ‘মোহামেডান ক্লাব সব সময় এই পজিশনে সেরা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই পজিশনে মোহামেডানের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সেরা গোলরক্ষক তৈরি করতে আমি সর্বাত্মক পরিশ্রম করব।’ 

এজেড/এমএইচ