হার, হার, হার, হার এবং হার! সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিতেই হারে বাংলাদেশ দল। রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ দলের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের ছাপ ছিল ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাতেও। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং- মনে হয়েছে মাঠে নামার আগেই হেরে বসেছে গোটা দল। হারের ধরণ আর ক্রিকেটারদের কৌশল পছন্দ হয়নি খালেদ মাহমুদ সুজনের।

জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে সকল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সুজনকে। আজ (রোববার) থেকেই সে দায়িত্ব সামলানোর কাজ শুরু করেছেন তিনি। এদিন মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন জানালেন, ক্রিকেটে অভিনয়টা খুবই প্রয়োজন। যা বিশ্বকাপে করতে পারেননি ক্রিকেটাররা। 

সুজন বললেন, ‘মানসিক ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে আপনি পারফর্ম করলে ভালো থাকবেন, না করলে শিখতে হবে। আমরা ক্রিকেট খেলায় একটা কথা বলি সবসময়, ক্রিকেটে অভিনয়টা খুবই প্রয়োজন। আপনাকে কখনো কখনো অভিনয় করতে হবে যে আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং এভাবেই ব্যাটিং করতে চান।’

সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘একটা ছেলে প্রতিদিনতো রান করবে না। কিন্তু আত্মবিশ্বাস তো গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক ব্যাপারটা জরুরী, আমি যদি প্রতি ম্যাচে নিজের ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন করি তাহলে কঠিন। চাপের মুহূর্তে আমাকে ভিন্ন ধরনের ব্যাটিং করতে হবে কেন? আমার নিজের তো একটা সেটাপ আছে যে কীভাবে রান করতে পারেন।’

সুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য একজন পাওয়ার হিটিং কোচের খোঁজ দেওয়ার। ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর মিশনে টি-টোয়েন্টির পাওয়া হিটিংয়ে জোর দিচ্ছে বিসিবি। সুজন মনে করেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সঙ্গে খেলার কৌশলটাও জানতে হবে ক্রিকেটারদের।

সুজনের ব্যাখ্যা, ‘টি-টোয়েন্টি অল্প বলের খেলা, আপনাকে আক্রমণাত্মক থাকতেই হবে। আপনি যদি শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের কথা বলেন দেখেন উইকেট যাওয়ার পরেও তারা ইতিবাচক। আপনি বেশ কিছু বল ডট দিয়ে পরে আক্রমণাত্মক হলে কঠিন। যে উইকেটেই খেলেন ১৪০-৬০ এর নিচে হলে কাজটা সহজ হয় না।’

টিআইএস/এনইউ