টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরের দুই ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালের দৌড়ে চলে এসেছিল ভারত। শুধু ছিল নিউজিল্যান্ডের হারের অপেক্ষা। কিন্তু বিরাট কোহলিদের ভাগ্য অতটা সুপ্রসন্ন হয়নি। নিউজিল্যান্ড হারেনি কোনোটিই। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকেও হারিয়েছে আট উইকেটে। তাতেই শেষ হয়ে গেছে কোহলিদের শেষ চারের আশা।

বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ব্যর্থতার জেরটা যে অত সহজ নয়, তা ভারতীয় ক্রিকেটারদের চেয়ে ভালো কে বোঝেন? ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বাদ পড়ার পর তো ক্রিকেটারদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল। এবার অন্তত তা ঘটেনি, তবে বিরাট কোহলিরা নিস্তার পাননি। বীরেন্দর শেবাগ, ওয়াসিম জাফরদের মতো সাবেকদের ঠাট্টার শিকার হয়েছে দলটি।

টুইটারে রসিক পোস্ট করার জন্য বিখ্যাত বীরেন্দর শেবাগ এবং ওয়াসিম জাফর দু’জনেই দু’টি ছবি পোস্ট করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শেবাগ রাহুল গান্ধীর একটি বিখ্যাত মিম ছবি পোস্ট করেছেন। যাতে লেখা, ‘খতম বাই বাই টাটা গুডবাই’; যার মানে, ‘শেষ, বিদায়, টাটা...’। মূলত বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায়কেই যে তিনি এই চারটি শব্দে বুঝিয়েছেন তা আর বাড়তি শব্দব্যয় করে বুঝিয়ে না দিলেও চলে।

জাফরও ভারতীয় দলকে খোঁচা দিয়েছেন মিমের মাধ্যমে। একটি সিনেমার দৃশ্য পোস্ট করেছেন তিনি, যেখানে সবার পিছনে থাকা নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যাচ্ছে ভারত আর আফগানিস্তানকে ফেলে।

সাবেক পেসার ইরফান পাঠান অবশ্য অনুচ্চারে শূলে চড়ালেন দলের পরিকল্পনাকে। ছোট্ট এক টুইটে লিখলেন, ‘পরের বার আরও ভাল পরিকল্পনা করে এসো।’ ভারতীয় সাবেক স্পিনার হরভজন সিং অবশ্য নিজ টুইটে জানিয়েছেন, ভারতের সেমিফাইনালে না খেলার বিষয়টা তার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বহু আগেই; সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ভূয়সী প্রশংসাও ঝরে পড়ল তার টুইটে। 

তিনি লিখেছেন, ‘দারুণ খেলেছ নিউজিল্যান্ড। তোমরাই সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য। কী সুন্দর খেলল কেন উইলিয়ামসন। তাকে এবং গোটা নিউজিল্যান্ড দলকে দেখে দারুণ লাগছে। জানতাম যে ভারত সেমিফাইনালে যাবে না। তবে কোনও চিন্তা নেই। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব।’

ভিভিএস লক্ষ্মণও ভারতের সমালোচনা না করে নিউজিল্যান্ডেরই প্রশংসা করলেন। লিখেছেন, ‘অসাধারণ ফিল্ডিং এবং বুদ্ধি দিয়ে রান তাড়া করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেল নিউজিল্যান্ড। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দারুণ লড়েও পারল না আফগানিস্তান।’

এনইউ