স্টিভেন স্মিথ নাকি পেট কামিন্স? পাল্লাটা ভারি ছিল কামিন্সের দিকেই। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একজন পেসারকে বেছে নেবে কি না, এ নিয়ে ছিল সংশয়। বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়ানো স্টিভেন স্মিথের জন্য কাল হয়েছে অনেকদিক থেকেই। অধিনাকত্ব পাওয়ার প্রশ্নেও এই জায়গাটিতেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্সকেই নিজেদের ৪৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলো অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য স্মিথ পেয়েছেন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব। বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে কোনো ধরনের নেতৃত্বে ফিরলেন তিনি। 

আগামী ৮ ডিসেম্বর গ্যাবায় শুরু হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে অধিনায়কত্বের যাত্রা শুরু করবেন কামিন্স। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই এই সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন কামিন্স। ‘যৌন কেলেঙ্কারির’ দায় মাথায় নিয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন টিম পেইন। এরপরই কামিন্সকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 

অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘আমি সম্মানিত বোধ করছি এই দায়িত্ব নিতে পেরে। অ্যাশেজ সিরিজের আগে এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি আশা করি গত কয়েক বছর পেইন যেভাবে এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে, আমিও পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি, স্মিথ সহ অধিনায়ক, অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে স্কোয়াডে। কিছু প্রতিভাবান তরুণও এসেছে। আমরা খুবই শক্ত দল। এমন অপ্রত্যাশিত দায়িত্ব পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং এটা নিয়ে সামনে তাকাতে চাই।'

অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে ফিরে স্মিথ বলেছেন, ‘আমি নেতৃত্বে ফিরতে পেরে খুবই খুশি। কামিন্সকে যেকোনোভাবে পারি, সহযোগিতা করার দিকে তাকিয়ে আছি। সে ও আমি অনেক লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছি। আমরা জানি সম্মানের কৌশলটা কী। আমরা খুব ভালো বন্ধুও, পুরো দলের মতোই।’

এমএইচ