বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্টের প্রথম দিনটা যেমন স্কোরলাইন নিয়ে শেষ হয়েছে, কানপুরে গতকাল ভারত নিউজিল্যান্ড টেস্টের প্রথম দিনটাও শেষ হয়েছিল প্রায় একই জায়গায়। আড়াইশো পেরোনো রান, ভারতের উইকেট খোয়া গিয়েছিল চারটা, আবার আলোকস্বল্পতার জন্য খেলাও শেষ হয়েছিল একটু আগেই।

সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে ভারত দেখছিল বড় রানের স্বপ্নই। তবে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকদের সে স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে টিম সাউদির তোপে। ভারত অলআউট হয়েছে ৩৪৫ রানে। এরপর উইল ইয়াং আর টম ল্যাথামের নিখুঁত সূচনায় দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে চলে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

আগের দিনে সাউদিকে একপাশে রেখে আগুন ঝরিয়েছিলেন কাইল জেমিসন। দ্বিতীয় দিনটা পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছেন সাউদি। কানপুরের গ্রিন পার্কে তুলে নিয়েছেন আগের দিন দারুণ ব্যাট করা রবীন্দ্র জাদেজাকে। এরপর ঋদ্ধিমান সাহাকেও অল্পেতেই ফিরিয়ে ভারতের বড় রানের আশাটাকে কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। 

এরপর সেঞ্চুরিয়ান শ্রেয়াশ আইয়ারও ফিরেছেন তার শিকার হয়েই। যদিও এর আগে দারুণ এক ইনিংস খেলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তাতে ভারতের লড়াকু স্কোরের ভিতও গড়ে দিয়েছেন তিনি। 

সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়ে বসেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সাবেক অধিনায়ক। ১৬তম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন শ্রেয়াশ। ১৯৩৩ সালে লালা অমরনাথের সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। এরপর বছর তিনেক আগে পৃথ্বী শ সেঞ্চুরি করে ঢুকেছিলেন এই ছোট্ট তালিকায়। এরপর আজ শ্রেয়াশ অভিষেকে সেঞ্চুরি করে ঢুকলেন এখানে। নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গাঙ্গুলি, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, বীরেন্দর শেবাগ, শিখর ধাওয়ানদের সঙ্গে। 

তবে শ্রেয়াশের ফেরার পর খুব একটা এগোয়নি ভারতের ইনিংস। ৩০৫ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তাকে হারানোর পর সাউদির আরেক আঘাতে অক্ষর পাটেলকে হারায় ভারত। সঙ্গে এজাজ পাটেল রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আর ইশান্ত শর্মাকে তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের লেজ মুড়ে দেওয়ার কাজটা সারেন। তাতে ভারতের ইনিংসটা ৩৪৫ রানেই থেমে যায়। 

পরের গল্পটা ভারতের জন্য কেবলই হতাশার। নিউজিল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার উইল ইয়াং আর টম ল্যাথাম মিলে কোনো সুযোগই দেননি প্রতিপক্ষকে। ৫০ ছুঁয়েছেন দু’জনেই। ইয়াং দিনশেষে অপরাজিত আছেন ৭৫ রানে, আর ল্যাথাম ৫০-এ। তাতে নিউজিল্যান্ডও বড় রানের পাহাড়ে ভারতকে চাপা দেওয়ার পথেই এগোচ্ছে। দ্বিতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তাদের স্কোরবোর্ডে উঠেছে ১২৭ রান।

এনইউ