অ্যাশেজ সিরিজ এখনো মাঠেই গড়ায়নি, এর আগেই অশনি সংকেত। অস্ট্রেলিয়ার কোভিড নীতিমালা দিচ্ছে চোখরাঙানি। সেই নীতিমালার কারণেই ভেন্যু বদলে গেল সিরিজটির শেষ টেস্টের। আজ সোমবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিষয়টি। 

সূচি অনুসারে সিরিজের পঞ্চম টেস্টটি হওয়ার কথা পার্থে। কিন্তু সেখানকার করোনাজনিত বিধিনিষেধের কারণে টেস্টটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি মাঠে গড়ানোর কথা ম্যাচটি। ভেন্যু সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান নেওয়া হলেও এর বদলে কোথায় হবে ম্যাচটি, সে সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি। 

তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলেছে ম্যাচটা সেখানেই আয়োজন করার জন্য। কিন্তু শেষমেশ বিষয়টা আলোর মুখ দেখেনি আর। 

শুধু এই ম্যাচই অবশ্য পড়েছে ধোঁয়াশায়। নারী বিগ ব্যাশ লিগের ফাইনাল হয়েছিল পার্থে, সেখানে ইতিহাসগড়া দর্শক দেখেছেন সেই ম্যাচটি। সিএ আর ডব্লিউএসি পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে ব্রিসবেন হিটের ম্যাচটিও সেখানেই আয়োজনের কথা ভাবছে। সেই ম্যাচে আগামী বুধবার ৮ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে দুই দল।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি বলেন, ‘ডব্লিউএ সরকার, সংশ্লিষ্ট এজেন্সি, পার্থ স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ শেষ কয়েক মাসে যে চেষ্টা চালিয়েছে সেটার প্রশংসা করতেই হবে আমাদের। তবে এখানে আমরা সিরিজের পঞ্চম ম্যাচটি আয়োজন করতে পারছি না বলে খুবই হতাশ। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া সরকার ও সেখানকার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে মিলে চলমান সীমানাবন্ধের নীতিমালা সত্বেও সেখানেই খেলানো যায় কিনা, সে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা সম্ভব হয়নি।’

মূলত পাঁচ দিনের টেস্ট, করোনা নীতিমালা মেনে সেখানে থাকা, দলগুলো ও সেখানকার জনগণের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট অবশ্য পার্থে চলবে বহাল তবিয়তেই। পার্থ স্কর্চার্স নিজেদের প্রথম ম্যাচটা আগামী বুধবার খেলবে এখানেই। এমনকি আন্তর্জাতিক ম্যাচও হবে সেখানে। আগামী বছর নিউজিল্যান্ডকে তিন ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টির সিরিজে আতিথ্য দেবে অস্ট্রেলিয়া। তার প্রথম ম্যাচটাই আয়োজন করা হবে সেখানে।

এনইউ/এটি