আগের ইনিংসে ১০১ তুলতে পারলেই ফলোঅনের লজ্জা এড়ানো যেত। কিন্তু বাংলাদেশ তাই তুলতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে, পড়েছে ফলো অনে। সেই তিন অঙ্ক দুই ইনিংস মিলিয়ে তুলেছে বটে, তবে পরের ইনিংসে সে ‘মাইলফলক’ ছুঁতেই দুই উইকেট হাওয়া বাংলাদেশের। দুই ইনিংস মিলিয়ে শতরান তুলতেই সবমোট ১২ উইকেট খুইয়ে বসেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসটা যেখানে শেষ করেছিল, দ্বিতীয় ইনিংসটা যেন সেখান থেকেই শুরু করেছে, খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে। চতুর্থ ওভারে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন ৬ রানে, হতাশার ষোলকলা পূরণ করে; প্রথম ইনিংস থেকে এবার অবশ্য খানিকটা ‘উন্নতি’ হয়েছে, প্রথমবার আন্তর্জাতিক আঙিনায় ব্যাট করতে নেমে যে কাল রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি, আর তো অন্তত তা পারলেন! হাসান আলির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন দলীয় ১২ রানে। 

এর ঠিক চার বল পর কোনো রান যোগ না করেই স্বাগতিকরা হারায় আরেক উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউর কাটায় পড়েন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রানে দুই উইকেট হারায় দল। তাতে সাকুল্যে রানসংখ্যা হলো ৯৯, আর উইকেট ১২টি।

এর কিছু পর সব মিলিয়ে শতরান ছুঁয়েছে বটে বাংলাদেশ। কিন্তু হতাশার মিছিল শেষ হয়নি দলের। অধিনায়ক মুমিনুল ফিরেছেন দলীয় ১৯ রানে, আর ছয় রান যোগ করে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন দলীয় ২৫ রানে। তাতে ইনিংস পরাজয়কেই মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সম্ভাব্য নিয়তি।

এনইউ/এটি