ফিক্সারদের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সহ্য হতো না হাফিজের
বছর দশেক আগে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নাড়িয়েই দিয়েছিল বিশ্বক্রিকেটকে। ম্যাচ পাতানোর দায়ে জেল হয়েছিল মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটের, নিষিদ্ধও হয়েছিলেন তিনজন। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে আমির বহাল তবিয়তেই ফিরেছেন পাক ক্রিকেটে। ফিক্সারদের এমনভাবে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়াটা কিছুতেই পছন্দ ছিল না মোহাম্মদ হাফিজের।
হাফিজ অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। এরপর সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হয়েছিলেন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের, যেখানে উঠে আসে এই ম্যাচ ফিক্সিং প্রসঙ্গ, নিজের অবসর নিয়েও কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
হাফিজের কথায় উঠে এসেছিল ম্যাচ পাতানোর দায়ে জড়িতদের পাকিস্তান দলে ফেরা, তাদের খেলা নিয়ে। সেসবের বিপক্ষে পরিষ্কার অবস্থান ছিল তার। হাফিজ জানান, ‘ফিক্সারদের বিপক্ষে আমার অবস্থান আগেও ছিল, এখনো আছে। আমি কখনোই চাইতাম না যে ফিক্সারদের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হোক।’
সেটা আজহার আলীকে সঙ্গে তিনি বলেওছিলেন কর্তৃপক্ষকে। তবে প্রত্যুত্তরে যা শুনলেন তিনি, তার জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না হাফিজ। বললেন, ‘তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান এরপর আমাকে জানান নিজের চরকায় তেল দিতে, তাদের (ফিক্সারদের) যে কোনো মূল্যে খেলানোই হবে। এটা শুনে আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম।’
বিজ্ঞাপন
জাতীয় দল থেকে নিজের অবসর নিয়েও কথা বললেন তিনি। জানালেন, অনেক আগে থেকেই এই ভাবনা ছিল তার। বললেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই অবসরের কথা ভাবছি। সেই সময় আমার স্ত্রী এবং আত্মীয়রা আপত্তি করায় খেলা চালিয়ে যাই।’
তার অবসরের কিছু দিন আগে পাক বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজা বলেছিলেন, তার ও শোয়েব মালিকের অবসর নেওয়া উচিত। তবে হাফিজের কথা, সেটা নেহায়েতই রমিজের ব্যক্তিগত মতামত। বললেন, ‘যেটা বলেছে সেটা ওর কথা। সমালোচকদের আমি সম্মান করি। মাঠে নেমেই তাদের উত্তর দেওয়া পছন্দ করি। বোর্ডের কারও প্রতি আমার কোনও খারাপ লাগা নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, বিষয়টা ভুল বোঝাবুঝির ছিল, তাই রমিজ তাদের নিয়ে এমন কথা বলেছিলেন, ‘রমিজ এটা বলেছিলেন, কারণ তার মনে হয়েছিল আমি হয়তো পিএসএলে খেলা, জাতীয় দলের চুক্তি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলবো। ৩১ ডিসেম্বর যখন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়, তখন আমি তাকে বলি যে শুধু অবসরের কথা বলতেই তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম।’
হাফিজের মতে সব ক্রিকেটারের সম্মানের সঙ্গে অবসর নেওয়া উচিত। সে কারণেই অবসরের ঘোষণাটা দিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, কারণ আমি অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি মনে করি, সব খেলোয়াড়কেই সম্মান নিয়ে অবসরে যাওয়া উচিত।’
এনইউ