গেল বছর শেষ হয়েছে টুর্নামেন্ট। তবু রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলার টাকা এখনো হাতে পৌঁছায়নি সিরিজটিতে খেলা কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের হাতে, এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাহমুদ সুজন থেকে শুরু করে শচিন টেন্ডুলকাররাও। এরই প্রতিবাদে এবার এই সিরিজ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন শচিন। 

গেল মৌসুমে শচিন খেলেছেন ইন্ডিয়া লেজেন্ডসের হয়ে। সেই টুর্নামেন্টের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও’ ছিলেন শচিন। সেই আসরে দারুণ আধিপত্য দেখিয়ে শচিনের দল জিতে নিয়েছিল টুর্নামেন্টটা। গত বছর মার্চে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডসকে দলটি হারায় ১৪ রানে। তবে সেই টুর্নামেন্টের পর ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও বেতন হাতে পাননি অধিকাংশ ক্রিকেটারই। 

সম্প্রতি জানা যায়, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট, মেহরাব হোসেন, রাজিন সালেহ, হান্নান সরকার এবং নাফিস ইকবালসহ দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় সাবেক খেলোয়াড়রাও এখনো অর্থ হাতে পাননি। সে কারণেই এবার টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন শচিন।

শচিনের কাছের সূত্র ধরে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ‘শচিন এই মৌসুমে আর এই টুর্নামেন্টে অংশ হবেন না। টুর্নামেন্টটি ১-১৯ মার্চ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার কথা আছে, তবে শচিন সেই টুর্নামেন্টে কোনোভাবেই অংশ নেবেন না।’

শচিনও যে অর্থ পাননি, সে কথাও নিশ্চিত করলেন সেই সূত্র। বললেন, ‘হ্যাঁ, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া অনেক ক্রিকেটারের মধ্যে শচিন আছেন, যাদের আয়োজকরা অর্থ প্রদান করেননি।’

সেই টুর্নামেন্টে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ম্যাজেস্টিক লেজেন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড এবং পিএমজি নামে একটি কোম্পানির অধীনে স্বাক্ষর করেন। আর দলগুলোর পরিচালনায় ছিল সেকেন্ড ইনিংস স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি কোম্পানি।

কথা ছিল, ২০২০ সালে সূচি নির্ধারিত হওয়া এই টুর্নামেন্টটিতে স্বাক্ষর করার পরে প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের প্রাপ্য অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হবে। আরও ৪০ শতাংশ আসবে ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এর মধ্যে। বাকি অংশ খেলোয়াড়রা হাতে পাবেন ৩১ মার্চ। তবে সেই ডেডলাইনের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো খেলোয়াড়রা অর্থ হাতে পাননি। যার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শচিন।

এনইউ