বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে সিলেট সানরাইজার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে সিলেট।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। তবে সকাল থেকেই হাসেনি ঢাকার সূর্য। ম্যাচের শুরু থেকেই জ্বললো ফ্লাইডলাইটের আলো। সে আলোর নিচের বিবর্ণ সিলেট, আলোকিত কুমিল্লার বোলাররা। নাহিদুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলামের সঙ্গে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

এ ম্যাচে উইকেট নিয়ে যতটা না আলোচনা, তার থেকে ঢের আলোচনা সিলেটের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে। স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কলিন ইনগ্রাম, রবি বোপারা, কেসরি উইলিয়ামসও সুবিধা করতে পারেননি। দলটির হয়ে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁয়েছেন মাত্র ৩ জন। এতে মাত্র ৯৬ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।

ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ফেরেন দলীয় ৭ রানে। ব্যক্তিগত ৩ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের আলো ছাড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন। এদিন তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। অফ স্পিনার নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তার আগে সাজ ঘরের পথ ধরেন ইংগ্রাম। শহিদুলের করা শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধান। ফেরেন ২০ রানে।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৩, অলক কাপালি ৬, মুক্তার আলি রানের খাতা খুলতে না পারলে বড় রানের স্বপ্ন ফিরে হয়ে যায় সিলেটের। মাঝে রবি বোপারার ১৭ এবং শেষদিকে সোহাগ গাজীর ১৯ বলে ১২ এবং কেসরিক উইলিয়ামের ৯ রানের সুবাদেও একশ রানের কোটা ছুঁতে পারেনি সিলেট। গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৬ রানে। কুমিল্লার হয়ে নাহিদুল, করিম জানাত এবং মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।

টিআইএস/এটি