ব্রেন্ডন টেলরের সেই বিবৃতির পরই ধারণা করা হচ্ছিল, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি। আজ শুক্রবার নিশ্চিত হলো বিষয়টি। চারটি নিয়ম ভাঙার অভিযোগে আইসিসি সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারকে। 

স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও গোপন করেছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক। বিষয়টা যখন দিন চারেক আগে জানালেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বড় নিষেধাজ্ঞাই নেমে আসছে তার ওপর। আইসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পরিষ্কার হলো বিষয়টা।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, সংস্থাটির দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার চারটি ধারা ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে তার ওপর। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আছে ডোপিং বিরোধী নীতিমালার একটি ধারা ভাঙারও। সবকিছুর মিশেলে তার ওপর নেমে আসে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা।

টেলরের ওপর যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা হলো দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ হচ্ছে জেনেও উপহার, অর্থ নেওয়ার বিষয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানো। ৭৫০ কিংবা তার চেয়ে বেশি ডলার সমপরিমাণ অর্থ নিয়েও আইসিসিকে সে বিষয়ে অবগত না করা। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সিরিজে হতে যাওয়া দুর্নীতি সম্পর্কে সব জেনেও আইসিসিকে পুরোপুরি না জানানো, ও এসবের ফলে দুর্নীতি দমন বিরোধী ইউনিটের কাজে দেরি করানো।

দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সব অভিযোগ মাথাপেতে স্বীকার করেছেন তিনি। শাস্তি নিয়েও কোনো উচ্চবাচ্য করেননি টেলর। 

এনইউ