ঠিক কি বলে বিশেষায়িত করবেন? এ যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকেই আলো কেড়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেনের পর ফেরান রবি বোপারাকে। টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন এই বাঁহাতি পেসার। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে তার অনবদ্য পারফরম্যান্সে ১৬ রানে ম্যাচ জিতেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে উঠেছে মৃত্যুঞ্জয়ের। পুরস্কার নিয়ে তিনি জানালেন, এতটাও আশা করেননি। মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট নেওয়া এবং হ্যাটট্রিক করা। তবে এরকম পর্যায়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু এক্সিকিউশন যেহেতু ভালো হয়েছে সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তি বলা যায়।’

বিপিএলের এবারের মৌসুমে প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন মৃত্যুঞ্জয়। সব মিলিয়ে বিপিএলে মোহাম্মদ সামি, আল-আমিন হোসেন, আলিস আল ইসলাম, ওয়াহাব রিয়াজ, আন্দ্রে রাসেল পর নাম তুলেছেন তালিকায়। সঙ্গে পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করলেন এই অর্জন।

ইয়র্কার বলে বাজিমাত করা মৃত্যুঞ্জয় বলছিলেন, ‘প্রথমদিকে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথমদিকে আমার পরিকল্পনায় ছিল যে ইয়র্কারটা ভালোভাবে করব। প্রথম ওভারে এক্সিকিউশনটা খুব ভালো হয়েছে এ কারণে প্রথম দিকে কোন চাপ ছিল না। আর আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে প্রথমদিকে যেহেতু দুইটা ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কার খুব ভালো পড়ছিল এ কারণে শেষের দিকে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল যে ইয়র্কারটা পড়বে। তো সেটা পড়েছে।’

সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘অধিনায়ক অসাধারণ একটা পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার। প্রথম ওভারটা হয়তো ওরকম হয়নি, তবে ট্রাই করেছি এবং পরবর্তী ওভারগুলোতে ইয়র্কার হয়েছে।’

টিআইএস/এমএইচ