চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও মেহেদী হাসান মিরাজের চলমান সম্পর্ক নিয়ে টালমাটাল গোটা ক্রিকেটাঙ্গন। ঝড়ের আভাস পাওয়া গেছিল শনিবার সন্ধ্যায়ই। মিরাজের পরিবর্তে টস করতে নামেন নাঈম ইসলাম। পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘চাপমুক্ত’ করতে মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র থেকে বলা হয়, সদ্য বিদায়ী কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই সরানো হয় মিরাজকে। তবে যেভাবেই হোক, বিষয়টি একেবারেই ভালো লাগেনি জাতীয় দলের অলরাউন্ডারের।

শুধু ভালো না লাগার অভিব্যক্ততেই ক্ষান্ত নন মিরাজ। চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় ফেরার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালঞ্জার্সের সিওও সৈয়দ ইয়াসির আলমের বিরুদ্ধে। যেখানে মিরাজ বলেছেন, ‘কেন থাকবো না! ও (ইয়াসির) যদি দলের সঙ্গে থাকে আমি খেলবো না। সব সময়তো ব্যস্ত থাকে দেখি। ও যদি দলে থাকে আমি থাকবো না। ইয়াসির ভাই যদি না থাকে তাহলে আমি দলে খেলব, নয়তো খেলবো না।’

মিরাজ কী বলেছেন...

আপনি যদি দেখেন বিপিএলে গত দুই বছর আমিতো ওপেনিংয়েই ব্যাটিং করেছি। ভালোই খেলেছি। আমি আমার মতামত দিয়েছি। আমিতো তাকে জোর করেছি তেমন তো না। জোর করলে তো আপনারা দেখতেন আমি খেলতাম। দুইজন যেটা করেছে সেটা তো সবাই দেখেছে। অবশ্যই খারাপ করেছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমার জন্যেই খারাপ। তিন ঘণ্টা আগে কীভাবে এটা করে।

কোচ মিডিয়াতে যে স্ট্যাটমেন্ট দিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আপনি দরকার পড়লে কোচকে ফোন করে দেখেন। আমার সঙ্গে ৩০ মিনিটের মতো কথা হয়েছে। ইয়াসিন যে স্ট্যাটমেন্ট দিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইয়াসিরই সবচেয়ে বড় কালপ্রিট। আমি শিওর মালিককে যেভাবে বলা হচ্ছে উনি সেভাবে করছে। ওনি এখানে কিছুতে ইনভলব না।

এখন খেলার মন মানসিকতা এখন নেই। উনারা যে জিনিসগুলো করছে, যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- হয়তো আমার সাথে উনাদের কমিনিউকেশন গ্যাপ হয়েছে। হয়তো কোচ যাওয়ার আগে অনেক কথা বলে গেছে।

খেলার তিন ঘণ্টা আগে আমাকে বলেছে তুমি অধিনায়কত্ব করছো না। সেটা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমি জানতে চেয়েছি কেন আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের চিন্তা-ভাবনা থাকলে আমাকে আগে থেকেই জানিয়ে দিতেন-আমি কী বলেছি আমার অধিনায়কত্ব লাগবে। এটাতো খেলোয়াড়ের জন্য অপমানজনক। এখানে ম্যানেজার যারা আছে, সিওও মিলে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মালিককে নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। মালিক অনেক ভালো মানুষ। কোচ চলে গেছে, উনি যাওয়ার আগে নাকি আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলে গেছে। আমি নাকি নিজের জন্য ক্রিকেট খেলি। আমি নাকি স্বার্থপর। ও আচ্ছা আমাকে ফোন দিয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো কথা হয়েছে। ও আমাকে এমন কিছু বলে নাই। অথচ আমাকে যেটা বলা হয়েছে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোচের নাকি মদদ আছে। আপনারা কোচকে জিজ্ঞেস করে দেখেন।

টিআইএস/এমএইচ