আবু হায়দার রনির হাফভলি বলটি গ্লান্স করেন পেটের পীড়া কাটিয়ে ফেরা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার উইল জ্যাকস। বলটি কোথায় গিয়ে থামছে সেটি তাকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের উইকেটরক্ষক আর ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের। রনির করা ইনিংসের প্রথম ওভারে আরো দুটি চার আসে। এবার ব্যাটসম্যানের নাম জাকির হাসান। এমন দুর্দান্ত শুরুর পরও দেড়শর আগে থেমে গেছে চট্টগ্রামের ইনিংস।

২ ওভারের একটি স্পেলেই চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের স্বপ্নে ধাক্কা দেন কুমিল্লার ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বল হাতে তোলা মঈন আলি। এই ইংলিশ ক্রিকেটারের অফ স্পিনের সঙ্গে কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কল্যাণে নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট চট্টগ্রাম। তাদের ইনিংস থামে ১৪৮ রানে। এতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালেরে বিপক্ষে ফাইনালে লড়ার টিকিট পেতে কুমিল্লার প্রয়োজন ১৪৯ রান।

চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জ্যাকস আর জাকির দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তবে শুরুর তালটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি দুই জন। ২২ বলে তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩১ রান। শহিদুলের বলে ৯ বলে ১৬ রান করা জ্যাকস আউট হলে ভাঙে এই জুটি। জাকির অবশ্য দেখে শুনে খেলতে গিয়েই ফেরেন সাজঘরে। মঈনের প্রথম শিকারে যখন পরিণত হন তিনি, তখন নামের পাশে ১৯ বলে ২০ রান।

দুই ওপেনারের মাঝে আরো একটি বড় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচটি জেতানোর নায়ক চ্যাডউইক ওয়ালটন ফেরেন মাত্র ২ রান করে। এরপর আফিফ হোসেন (১০), শামীম পাটোয়ারীও (০) সুবিধা করতে পারেননি মঈনের সামনে। এতে দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছুঁতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। এতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবশ্য দলকে টেনে তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর আকবর আলি। ৪০ বলের জুটিতে দুই জন যোগ করেন ৬১ রান। দারুণ ব্যাট করতে থাকা আকবর রনিকে তুলে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ২০ বলে ৩৩ রান করে। যেখানে সমান ২টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। আকবরের আউটের পর বেনি হাওয়েল রান আউটে কাটা পড়েন ৩ রান করে।

শেষদিকে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে মিরাজের ৩৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের ৯ বলে ১৫ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট চট্টগ্রাম ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায়। কুমিল্লার হয়ে তিন ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেন নেন মঈন। শহিদুল ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৩ রান।

টিআইএস