যে মন্ত্রে ম্যাচ জিতিয়েছেন আফিফ-মিরাজ
টপ অর্ডারের পর ধ্বসে গেছে মিডল অর্ডারও, ৪৫ রানে নেই ৬ ব্যাটসম্যান। সপ্তম উইকেট জুটির পর নিচের দিকে নেই আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। প্যাড পরে ব্যাট হাতে বসে আছেন তাসকিন আহমেদ, অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কখন ব্যাটিংয়ে নামবেন।
২১৬ রানের লক্ষ্য। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৭১ রান। অসম্ভব বললেও কমই বলা হবে। সেই অসম্ভবকে বাস্তবে রূপ দিলেন আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে আফিফ ৯১ এবং মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থেকে ১৭৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন।
বিজ্ঞাপন
এমন এক ম্যাচ জেতার মন্ত্রটা কী ছিল? আফিফ হোসেন বললেন, জয়ের ব্যাপারে ভাবেননি তারা। শুধু উইকেট না হারানোর মন্ত্রে এসেছে এই জয়।
সংবাদ সম্মেলনে আফিফ বললেন, ‘৬ উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু লক্ষ্য ছিল, আমরা উইকেট দেব না। এই লক্ষ্যটা নিয়েই ব্যাটিং করেছিলাম যে উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়। প্রথম থেকে আমাদের লক্ষ্য একটাই ছিল যে উইকেট দিবো না, রান যা আসবে, আসলে ভালো না আসলে কিছু করার নাই। শেষের দিকে তো খেলা বল টু বল ছিল। পরিকল্পনা ছিল কেবল স্বাভাবিক খেলাটা খেলব।’
বিজ্ঞাপন
যোগ করেন আফিফ, ‘মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন বাউন্ডারি দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট হয়ে গেছে তখন বাউন্ডারি এসেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝতেছিলাম পরিস্থিতি যে উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা। পুরো খেলাটায় আমরা ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে কথা বলিনি। আমাদের জাস্ট কথা ওটাই ছিল যে, আমরা উইকেট দিব না, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব।’
আফিফ-মিরাজ যখন পার্টনারশিপ শুরু করেন, তখনো আফগান স্পিন ত্রয়ী রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমানের ৩০ ওভারের ২৫ ওভারই বাকি। আফিফ জানালেন, এই তিনজনকে নিয়ে কী পরিকল্পনার ছিল তাদের।
আফিফের ব্যাখ্যা, ‘নির্দিষ্ট বোলারদের লক্ষ্য বলতে ওদের যে ৩ জন স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক খেলা। লাস্টে এদের ওভার শেষ হলে ৫ ওভার বাকি থাকতো। ওখানে একটা প্ল্যান, লাস্টের দিকে আরকি যখন খেলা অনেক দূর চলে গেছে, লাস্ট ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ ও লাগে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যেন শেষ করতে পারি। ওদের স্পিনারদের উইকেট না দিয়ে ব্যাটিং করার পরিকল্পনা ছিল।’
ড্রেসিংরুম থেকে কেমন বার্তা এসেছিল জানিয়ে আফিফ বলেন, ‘ড্রেসিং রুম থেকে একটা বার্তাই ছিল যে আমরা যেভাবে যাচ্ছিলাম সেভাবেই যেন যাই। উইকেট না দিয়ে, উইকেট যেনো হাতে রাখি। আমরা দুজন যদি উইকেটে থাকি ম্যাচটা যেতা সম্ভব।’
টিআইএস/এনইউ