সংবাদমাধ্যমের খবরে মেজাজ হারান না ডমিঙ্গো
বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় একটি অংশের কাছে খলনায়ক বনে গেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বেশিরভাগ সময়ই তাকে নিয়ে ‘নেতিবাচক’ খবর প্রকাশিত হয়। মাধ্যম হয়ে এমন খবরের কিছু অংশ তার কাছে গিয়েও পৌঁছায়। তবে এসব নিয়ে একাবারেই বিচলিত নন ডমিঙ্গো, মেজাজ হারান না তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে কৌশলী অবস্থান রাসেল ডমিঙ্গোর।
আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘এটা (তার থাকা, না থাকা) বিসিবির ব্যাপার। যদি আত্মবিশ্বাসী হতে হয় তাহলে তো আন্তর্জাতিক দলকে কোচিং করাতে পারব না। সংবাদমাধ্যম ও মানুষ যা বলে, আমি তাতে মেজাজ হারাতে পারি। কিন্তু এটা করা জরুরী নয়।’
বিজ্ঞাপন
সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘আপনাদের (সংবাদমাধ্যম) কাজ এটা, আপনারা আমাকে বা খেলোয়াড়দের নিয়ে যা খুশি লিখতে পারেন। আমি সেটা খেলোয়াড়দের থেকে দূরে রাখি। আপনাদের যা খুশি আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি মেজাজ হারাব না। কিন্তু সত্যি বলতে, আপনারা যা লেখেন তা বেশিরভাগ সময় আমি বুঝতেই পারি না।’
গুঞ্জন উঠেছে, ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে জেমি সিডন্স আসায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ হয়তো আরো অন্ধকারের দিকে। সঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজনের টিম ডিরেক্টর গিসেবে অন্তর্ভুক্তিতে ক্ষমতা জানিয়েছেন ডমিঙ্গো।
বিজ্ঞাপন
সিডন্স প্রসঙ্গে ডমিঙ্গোর জবাব, ‘জেমি কি যেন? ব্যাটিং কোচ। হ্যাঁ, সেটাই তার কাজ। দেখুন, সে অনেক অভিজ্ঞ এক কোচ। বিশ্বজুড়ে কোচিং করিয়েছে। এখানকার সিস্টেম সে জানে, অনেক খেলোয়াড়কে সে চেনে। হয়ত আমার চেয়েও ভালো জানে, কারণ আগেও সে এখানে ছিল। তাই তাকে পেয়ে ভালো লাগছে। কোচিং স্টাফে সে অনেক অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
সুজনের বিষয়ে বলেন, ‘আমার কাছে টিম ডিরেক্টর আমার ও বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখে। দল নির্বাচন ও এসব নিয়ে কথা হয়। আমি তো আর বোর্ড পরিচালকদের সাথে কথা বলব না লাইনআপ বা টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে। তাই চাচাকে পেয়ে ভালো হল। তিনি আমাকে চাপমুক্ত করেছেন।’
টিআইএস/এটি