গত এক দশক ধরে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল এগিয়েছে একদিকে, আরেকদিকে সমান তালে পিছিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দলটির সমর্থকরাও তাই আফসোস করেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জেতা হয়নি এক দশক ধরে, আধিপত্য নেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খণ্ডকালীন কোচের দায়িত্বে থাকা রাফ রাঙ্কনিক বলছেন, তাদের ট্রান্সফার কৌশল ঠিক নেই। এই জায়গাটাতেই সিটি ও লিভারপুল এগিয়ে গেছে বলে বিশ্বাস তার। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর দলবদলে ১ বিলিয়ন অর্থ খরচ করেও সফল হতে পারেনি ইউনাইটেড। 

এ নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে রাঙ্কনিক বলেছেন, ‘এটা ধারাবাহিকতার প্রশ্ন, চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপার, জানতে হবে আপনার ক্লাব বা ম্যানেজার কীভাবে খেলতে চায়। একটা পরিষ্কার ট্রান্সফার কৌশল, কোন খেলোয়াড়টা সিস্টেমের সঙ্গে যায় তাকে আনা;  এসবই দুই ক্লাবকে এগিয়ে রেখেছে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে।’

‘যদি আমি তাদের ট্রান্সফার সাফল্যের দিকে দেখি। তাদের খুব বেশি খেলোয়াড় দেখি না যাদের দুই-তিন বছর যাওয়ার পর বলেছে ব্যর্থ হয়েছে। তারা যথেষ্ট সফল, দুইটা ক্লাবই। আমার মনে হয় এখানেই আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যাওয়া উচিত।’

গত এক দশকে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়কে দলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যে ডি মারিয়া, জর্ডান সাঞ্চো প্রায় সবাই নিজেদের আগের ক্লাবের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি। রাঙ্কনিক বলছেন, এমন খেলোয়াড় বেছে নিতে হবে যারা ক্লাবের দর্শনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন।

তিনি বলেছেন, ‘স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে সেটা ছিল ১০ বছর আগে কিন্তু এরপর, আলাদা অনেক কোচ এসেছে দুই ক্লাবের সঙ্গে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে। আমি বলছি না তাদের মতো কিছুই করতে হবে। আমাদের নিজস্ব পরিচয় আছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব হিসেবে, সবসময় নিজেদের পথে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সব মিলিয়ে পেশাদার ফুটবল সহজ।’

‘আপনার ক্লাবের একটা নিজস্ব পরিচয় থাকবে কীভাবে খেলতে চান। এমনকি সমর্থকরা আপনাকে কীভাবে দেখতে চায়, সেটা সবসময়ই আকর্ষণীয়, অফেন্সি, প্রোএক্টিভ ও বিনোদন দেওয়া হতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে দলে আনা খেলোয়াড়রা সঠিক। সঠিক খেলোয়াড়কে ঠিক সময়ে দলে নিতে হবে।’

এমএইচ/এটি