দিন তিনেক পরই পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াই। যেখানে প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগে তাই তাদের জয়ের বিকল্প নেই। এর আগে অবশ্য বড় জয় নিয়ে লিওনেল মেসিদের সতর্ক বার্তাই দিয়ে রাখল কার্লো আনচেলত্তির দল।

শুরুতে পেনাল্টি গোল হজম করলেও শেষ পর্যন্ত তারা ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচজুড়ে আধিপত্য দেখানো রিয়াল শুরুতে একটু ভুগে আক্রমণে, পরে সময়ের সঙ্গে সেখানেও ধারালো হয় তারা।

ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই অবশ্য গোলের দেখা পেয়ে যায় সোসিয়েদাদ। ডি-বক্সে অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভাকে ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ফাউল করেন। পেনাল্টি পেয়ে যায় সোসিয়েদাদ। স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মিকেল ওইয়ারসাবাল।

ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না রিয়াল। ৪০তম মিনিটে এসে অবশেষে ডেডলক ভাঙেন কামাভিঙ্গা। মদ্রিচের পাস ধরে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে আচমকা বুলেট গতির শট নেন ফরাসি মিডফিল্ডার। যেটা জালে জড়ায়। গোল পেয়েই যেন নিজেদেরও ফিরে পায় রিয়াল।

দুই মিনিট পরই বল জালে জড়ান বেনজেমা। সেটা যদিও গোল হয়নি। তবে এর মিনিট খানেক পরই গোল করেন লুকা মদ্রিচ। বেনজেমার কর্নারে বল দেওয়া-নেওয়া করেন কারভাহাল। সেখান থেকে বল পেয়ে ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট জালে জড়ায়।

বিরতি থেকে ফেরার পর বেনজেমার গোলমুখে নেওয়া কয়েকটা শট ঠেকান গোলরক্ষক। এরপর ৬১ মিনিটে বল জালে জড়ালেও অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় সেটি। ৭৬ মিনিটে এসে পেনাল্টি থেকে গোল পান বেনজেমা। এর তিন মিনিট পরে গোল করে ব্যবধান ৪-১ করেন অ্যাসেনসিও।

এই জয়ের পর লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে সেভিয়ার চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে রিয়াল। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৬ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬৩। সেভিয়ার অর্জন ৫৫ পয়েন্ট। আগামী বুধবার পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে মাঠে নামার আগে এই জয় আনচেলত্তির দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসই দেবে।

এমএইচ