ইনজুরি সময়ে পয়েন্ট হারিয়ে চলছেই জামালরা
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিড়ম্বনা যেন পিছু ছাড়ছেই না জামাল ভূঁইয়ার দল সাইফ স্পোর্টিংয়ের। কখনো রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার, আবার কখনো নিজেদের মনোসংযোগের ঘাটতিতে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে পয়েন্ট খোয়ানো, এমন সব বিড়ম্বনার মুখে প্রতিনিয়তই পড়ছে দলটি। আগের ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে ম্যাচ হেরেছিল সাইফ। আজ মুন্সিগঞ্জে ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে গোল হজম করে শেখ জামালের সঙ্গে ড্র করে জয় হাতছাড়া করেছে।
৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ছিল ১-১। চতুর্থ রেফারি চার মিনিট ইনজুরি সময় দেখান। দ্বিতীয় মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার মাঝ মাঠ থেকে নেয়া ক্রসে শেখ জামালের আগুয়ান গোলরক্ষক নাইমকে পরাস্ত করে সাইফকে জয়ের সুবাস এনে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফোন সানডে। চার মিনিট ইনজুরি সময়ের দশ থেকে বিশ সেকেন্ড আগে ডিফেন্ডার রায়হান হাসানের লং থ্রোতে হেড করে শেখ জামালের এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন গাম্বিয়ান ফুটবলার সলোমন সিল্লাহ। আর জামালরা পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পাওয়ার হতাশায় মাঠ ছাড়েন।
বিজ্ঞাপন
এই ড্রয়ের ফলে লিগে একমাত্র শেখ জামালই অপরাজিত থাকল। আট ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তিনে। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ আছে পঞ্চম স্থানে।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে.মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। ৫২ মিনিটে শেখ জামালের অধিনায়ক সলোমনের ফ্রি কিকে বক্সের বা প্রান্তে বল নিয়ন্ত্রণে নেন উজবেক মিডফিল্ডার ওতাবেক। সাইফের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন ওতাবেক।
বিজ্ঞাপন
পরের মিনিটেই অবশ্য সমতা আনে সাইফ স্পোর্টিং। সাইফের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মেরাজ হোসেনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন শেখ জামালের ডিফেন্ডার শাহীন মিয়া। রেফারি জিএম চৌধুরি নয়ন পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে সমতা আনতে ভুল করেননি নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফোন। ৬৯ ও ৮০ মিনিটে জামাল গোলরক্ষক নাইম সাইফের এমেকা ওগবাগের অসাধারণ দুই আক্রমণ রুখে দেন।
এজেড/এনইউ