ম্যাচে বোর্দোর বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি। কিন্তু পিএসজি সমর্থকদের কি আর তাতে মন ভরে! তাদের মনে যে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের ক্ষত, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার ব্যথা। তবে তাই বলে তারা এমন বিরল এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন!

পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লিওনেল মেসির পায়ে যতবারই বল গেল, ততবারই যে দুয়ো দিলেন পিএসজির সমর্থকরা। মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কষ্টকর সময়গুলোর একটিই নিশ্চয়ই ঘটল মাঠে। একই ব্যাপার ঘটল নেইমারের ক্ষেত্রেও। তিনি দুয়ো শুনলেন গোল করেও। 

অভিমান যে জমা হয়েছে নেইমারের মনেও, সেটা তিনি স্পষ্ট করেছেন। গোল করেও উদযাপন করেননি। তিনি না হয় গোল করে জবাব দিতে পেরেছেন, মেসি কি দিয়ে স্বান্তনা নেবেন? উল্টো তার একটা বল লেগেছে গোলপোস্টে। তাতে ব্যথাটাই নিশ্চয়ই বেড়েছে।

ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য পিছিয়ে যেতে পারত পিএসজি। কিন্তু তাদের রক্ষা করেন রিয়ালের বিপক্ষে না খেলা গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। রেমি ওদাঁর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ঝাপিয়ে পড়ে এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান তিনি। 

২১তম মিনিটে নেইমারকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় পিএসজি। ওই ফ্রি কিক শট নিতে দাঁড়ান নেইমার ও মেসি। দুজনের জন্যই গ্যালারি থেকে ভেসে আসে দুয়ো। নেইমার বল মারেন গোলপোস্টের উপর দিয়ে। ব্যাঙ্গাত্মক তালি বাজে গ্যালারি থেকে।

দুই মিনিট বাদেই অবশ্য এগিয়ে যায় পিএসজি। গোলের কারিগর ছিলেন মেসি। তিনি বল পাস দেন উইজানাল্ডমের কাছে। তিনি বল বাড়ান বক্সের ভেতরে থাকা এমবাপেকে। ফরাসি তারকার জোড়ালো শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

৫০তম মিনিটে গোল পান নেইমার। এবারও গোলের পেছনের কারিগর মেসি। তিনি আশরাফ হাকিমিকে বল দেন। হাকিমি বাড়ান নেইমারের উদ্দেশ্যে। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে গোল করেন নেইমার। তবে গোলের পর কোনো উদযাপন করেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ছয় মিনিট বাদে পিএসজি পেনাল্টি পায়। স্পট কিক নিতে তৈরি হন নেইমার। তবে ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায় পেনাল্টি। পাঁচ মিনিট পর আরও একবার এগিয়ে যায় পিএসজি। বক্সের ভেতর এমবাপের পাসে প্রতিপক্ষের বাধায় শট নিতে পারেননি নেইমার। তখন বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পারেদেস।

ম্যাচের তিন মিনিট বাকি থাকতে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন মেসি। কিন্তু ভাগ্য যে তার সঙ্গে নেই! বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। হতাশই হতে হয় আর্জেন্টাইন তারকাকে। তবে পিএসজি ম্যাচ জিতে লিগ ওয়ানে শীর্ষস্থান ধরে রাখে। তাতে নিশ্চয়ই পিএসজি সমর্থকদের মন ভরেনি, তাদের যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা বড্ড দরকার!

এমএইচ