শুরু থেকেই সমালোচনা সঙ্গী ছিল কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন সেটা বাড়ছে। আগের দিন নেদারল্যান্ড কোচ লুই ভ্যান গাল সমালোচনায় মেতেছিলেন। এবার একই পথে হাঁঁটলেন জার্মানির কোচ হেন্স ডিয়েটের ফ্লিক।  

কাতারেই প্রথম বিশ্বকাপে দলকে কোচিং করাবেন তিনি। বিশ্বকাপজয়ী কোচ জোয়াকিম লো দায়িত্ব ছাড়ার পর তাকে বেছে নেয় জার্মানি। ফ্লিকের কাছে তাই টুর্নামেন্টটা স্বপ্নের। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকা উচিত বলে মনে করেন জার্মান কোচ।

জার্মানির ম্যাগাজিন স্টার্নকে তিনি বলেছেন, ‘সবসময় এখানে টাকাই মূখ্য হতে পারে না। সম্প্রতি আমরা রাশিয়াতে বিশ্বকাপ দেখেছি, বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক হয়েছে আর নভেম্বরে কাতারে হবে বিশ্বকাপ- সবগুলোতেই সমালোচনা ছিল। এজন্যই আমি বলেছি আমাদের ভাবতে কোন দেশগুলোতে আমরা স্পোর্টিং ইভেন্ট আয়োজন করবো আর অবশ্যই এসবের ব্যাপারে নির্দিষ্ট একটা মানদণ্ড থাকতে হবে।’

নিজেরা তাহলে বিশ্বকাপ বয়কট করবেন কি না জানতে চাইলে ফ্লিক বলেন, ‘এটা কাতারের মানুষকে সাহায্য করবে না। আমরা অংশ নিতে চাই এরপর বার্তা দিতে চাই। আমার মনে হয় এটা আরও বেশি কার্যকর। অনেক অ্যাথলেটের জন্য বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বয়কট করলে সেটা কেড়ে নেওয়া হবে।’

সম্প্রতি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এর জেরে নানাদিক থেকে দেশটির ওপর নেমে এসেছে নিষেধাজ্ঞা। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও। আসন্ন বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া। ফ্লিক মনে করেন, এসব করে যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে না। অ্যাথলেটদের জন্যও তার খারাপ লাগছে বলে জানান তিনি।

জার্মান কোচ বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই ধরনের পদক্ষেপগুলো প্রতীকি হিসাবে ঠিক আছে। কিন্তু আমার মনে হয় না পুতিন এতে প্রভাবিত হবেন। এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অবধি তাকে থামাতে পারছে না। আমি ওই অ্যাথলেটদের জন্য দুঃখিত যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে না। কারণ এটা পুতিনের যুদ্ধ, তাদের না। কিন্তু এখন হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।’

এমএইচ