ক্লাব ফুটবল ভিন্ন ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসে। জাতীয় দলের খেলা এলেই অবশ্য সব সখ্যতা ভুলে নিজ দেশের খেলাতে মন দেন ফুটবলাররা।  তবে বৃহত্তর স্বার্থে যে জাতীয় দলের খেলার সময়েও ভিন্ন ভিন্ন দলের খেলোয়াড়েরা এক সুতোয় গাঁথতে পারেন নিজেদের, তারই প্রমাণ যেন দিতে চলেছেন দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলাররা। ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে লিওনেল মেসিসহ ১০ দক্ষিণ আমেরিকান অধিনায়ককে নিয়ে খোলা হচ্ছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দীর্ঘ প্রক্রিয়া নিয়ে সেখানে আলোচনায় বসবেন তারা। 

শুধু খেলা হলে অবশ্য তেমন সমস্যাই হতো না। দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলে হওয়ায় প্রতি উইন্ডোতে প্রতিটি খেলার জন্য বিশাল সব ভ্রমণের ঝক্কি সামলাতে হয় লাতিন ফুটবলারদের। মূলত আলোচনাটা এগোতে যাচ্ছে সে কারণেই। ব্রাজিলীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো এস্পোর্তেকে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু ১৮টা ম্যাচই নয়, সঙ্গে থাকা ভ্রমণক্লান্তিটাকেও হিসেবে আনতে হবে আপনাকে। ইউরোপে যারা খেলে, তাদের তুলনায় আমাদের অনেক বেশি ভ্রমণ করতে হয়। এটা ইউরোপের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যদি এতে একটা ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের পারফরম্যান্স ও আমাদের ম্যাচে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা এখন যা করছি, তাকে অহেতুক খাটুনি বলে মনে হয় আমার।’

থিয়াগো সিলভার এই গ্রুপ চ্যাটে মেসি তো থাকবেনই, দক্ষিণ আমেরিকান দলের অধিনায়করাও থাকবেন বলে জানা গেছে। এরা হলেন, থিয়াগো সিলভা (ব্রাজিল), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), ডিয়েগো গোডিন (উরুগুয়ে), ক্লদিও ব্রাভো (চিলি), দাভিদ অসপিনা (কলম্বিয়া), এনার ভ্যালেন্সিয়া (ইকুয়েডর), পেদ্রো গালাসে (পেরু), মোজেজ ভিয়ারোয়েল (বলিভিয়া), টমাস রিঙ্কন (ভেনেজুয়েলা), গুস্তাভো গোমেজ (প্যারাগুয়ে)।

১০ দলের ১৮ ম্যাচের পরিবর্তে পুরনো ছকে ফেরার একটা সম্ভাবনা আছে। যেখানে দক্ষিণ আমেরিকান দশ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দশ ম্যাচ। এতে দলগুলোর ভ্রমণ ঝক্কি কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এ নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে এমন কিছুর ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে কর্তাব্যক্তিদের মগজে, জানাচ্ছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম। 

এনইউ