দলকে বিশ্বকাপে নিতে পারেননি। তবে রবার্তো মানচিনির অধীনে এর আগে রীতিমতো উড়েছে ইতালি। জিতেছে গত বছর অনুষ্ঠিত ইউরোও। তাই তার ওপর আস্থা রাখছে ইতালি ফুটবল ফেডারেশন। দেশকে বিশ্বকাপে না নিতে পারলেও কোচ হিসেবে মানচিনিই থাকছেন, এমন ইঙ্গিত মিলেছে।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে যেতে ব্যর্থ হওয়ার পর মানচিনির হাতে দায়িত্ব দেয় ইতালি। ইউরো জেতার সঙ্গে টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে তারা। নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে ভাঙে সেই রেকর্ড। এরপর রোববার নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে হারে নিশ্চিত হয় টানা দুই বিশ্বকাপ খেলতে না পারা।

তবে এরপরও মানচিনির ওপরই আস্থা রাখছে ইতালি। তুরস্কের বিপক্ষে প্লে-অফে তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে নামবে তারা। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন মানচিনি। জাতীয় দলকে পরের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই কোচ।

তিনি বলেছেন, ‘আমি ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা সবকিছুতে একমত হয়েছি। আগে এই ম্যাচটা নিয়ে ভাবি, এরপর বাকি সবকিছু নিয়ে ভাবব ভবিষ্যতে কোন জায়গায় উন্নতি লাগবে সেটা বুঝতে।’ 

‘এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দল আছে যারা গত ৬০ বছরে কিছু জেতেনি। ইতালি এর চেয়ে কিছুটা ভালো জায়গায় আছে কিছু হতাশা থাকলেও। কখনও কখনও আমরা অতিরিঞ্জত করে বলি যে কারণগুলো খুঁজে পেয়ে তার দিকে তাকাতেই হবে। নর্থ মেসিডোনিয়ার ওই ম্যাচটা ছাড়া গত তিন বছরে যা কাজ করেছি সেটা অভিনন্দিত হওয়ায় আনন্দিত।’

ইতালির বর্তমান দলটাই সাফল্য এনে দিতে পারে বলে বিশ্বাস তার, ‘আমাদের শুধু ভালো খেলোয়াড়ই নেই; তারা দারুণ একটা দল হিসেবেও গড়ে উঠেছে। শুধু লকার রুমে না, সব জায়গায়। এখানে ঠিকঠাক একটা দল আছে যারা সাফল্য এনে দিতে পারে।’

তরুণদেরও জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হবে জানিয়ে মানচিনি বলেছেন, ‘আমাদের গ্রুপটা জেতা উচিত ছিল অন্তত দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে। আমি কোনো অযুহাত দিতে চাই না যা ঘটেছে তার জন্য। আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে ও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

‘আমাদের গোড়া থেকে শুরু করতে হবে, আলাদা করে ভাবতে হবে। আমরা আরও তরুণদের জাতীয় দলে আনবো। আশা করবো ক্লাবেও তারা বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।’

এমএইচ