ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সফল কোচ তিনি। তবে পেপ গার্দিওলা জাতীয় দলের কোচিং করাননি কখনো। একবার অবশ্য জানিয়েছিলেন, ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে যাওয়ার পর কোচিং করাতে চান ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো লাতিন ফুটবলের কোনো পরাশক্তিকে। ব্রাজিল সেই প্রস্তাব নিয়ে গেছে গার্দিওলার কাছে, জানাচ্ছে স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কা। 

২০২২ বিশ্বকাপের পরই বর্তমান কোচ তিতে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব ছাড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। ৬০ বছর বয়সী এই কোচের বদলি হিসেবেই গার্দিওলাকে চাইছে ব্রাজিল। 

বর্তমানে অবশ্য ব্রাজিল তাদের পুরো চেষ্টাটা বর্তমান লক্ষ্য পূরণেই ঢেলে দিচ্ছে। সেটা যে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জেতা, তা আর বোধহয় বলে না দিলেও চলছে। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাও কম ভাবছে না দলটি। 

গার্দিওলাকে সেই ভবিষ্যতেরই অংশ করতে চাইছে ব্রাজিল। মার্কা জানাচ্ছে, ব্রাজিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তিতের উত্তরসূরিকে ব্রাজিলের বাইরে থেকে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। যার ফলে গুঞ্জনটা গার্দিওলাকে নিয়েই হচ্ছে বেশি। 

তবে বিষয়টা যে নেহায়েত গুঞ্জনের পর্যায়ে নেই, সেটা জানাচ্ছে মার্কা। সংবাদ মাধ্যমটির ভাষ্য, গার্দিওলার ভাই ও এজেন্ট পেরের সঙ্গে কাতালান এই কোচকে পাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেছে ব্রাজিল। অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত গার্দিওলাকে চাইছে নেইমারদের বোর্ড। 

বিষয়টা এতদূরই গড়িয়েছে যে, জানা যাচ্ছে গার্দিওলার সম্ভাব্য আয়টাও। মার্কা জানাচ্ছে, গার্দিওলা সেখানে প্রতি বছর আয় করবেন ১২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ, সেটাও আবার সব ধরনের আয়কর দেওয়ার পর। তবে এ অর্থ ম্যানচেস্টার সিটিতে গার্দিওলার আয়ের চেয়ে অনেক কম। সিটিতে সাবেক বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচ আয় করেন ৩২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ।  

তবে এই অর্থেই গার্দিওলা ব্রাজিলের কোচ হতে রাজি হয়ে যাবেন বলে আশা ব্রাজিল ফুটবলের। তাদের আশা, আগামী ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে সিটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরই তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন গার্দিওলা। 

এর সঙ্গে অবশ্য একটা প্রশ্নও উঠে আসছে, গার্দিওলা যদি শেষমেশ ব্রাজিলের কোচ হতে সম্মতই হন, তাহলে তিনি কোচ হবেন কখন? আগামী ২০২৩ এর গ্রীষ্মে সিটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর? নাকি বিশ্বকাপের পরপরই? তবে এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে 
আরও কয়েক মাস।

এনইউ