যেকোনো প্রতিযোগিতার ফাইনাল মানেই বাড়তি উন্মাদনা আর রোমাঞ্চ। বুধবার রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সে রোমাঞ্চ ছড়াল আরো বেশি। নির্ধারিত আর অতিরিক্ত সময়ে খেলার মীমাংসা না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে রেঞ্জার্সকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানির ক্লাব এইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট।

৪২ বছর পর আবার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা ঘরে তুললো তারা। এর আগে সবশেষ ইউরোপা লিগ জিতেছিল ১৯৮০ সালে, স্বদেশী ক্লাব বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে হারিয়ে। ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতার কারণে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী মৌসুমে খেলার সুযোগ পেলো ফ্রাঙ্কফুর্ট। জার্মান লিগে অবশ্য তাদের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়, লিগ শেষ করেছে ১১ নম্বর অবস্থানে থেকে।

সেভিয়ায় বুধবার রাতে ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ছিল স্কোরলাইন। যেখানে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে আধিপত্য ছিল ফ্রাঙ্কফুর্টের। অথচ ৫৭তম মিনিটে তারাই খেয়ে বসে গোল। রেঞ্জার্সের হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন জোয়ে আরিবো। বলের পেছনে ছুটতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান ডিফেন্ডার তুতো। তার সঙ্গে লেগে থাকা আরিবো বক্সে ঢুকে বাঁ-পায়ের শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।

১২ মিনিট পর ফ্রাঙ্কফুর্টকে সমতায় ফেরান মাউরি। বাঁ-দিক থেকে ফিলিপ কোস্তিচের পাসে ছয় গজ বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় বাধা দেওয়ার আগে পা বাড়িয়ে বল জালে ঠেলে দেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। পরে আর কোনো দল গোলের মুখ খুলতে না পারলে ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও গোল বঞ্চিত দুই দল। এতে খেলা নিস্পত্তি হয়ে টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে ফ্রাঙ্কফুর্ট প্রথম ৪টি শট থেকেই গোল আদায় করে। অন্যদিকে তাদের গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ রুখে দেন রেঞ্জার্সের অ্যারন রামসির নেওয়া রেঞ্জার্সের চতুর্থ শট। ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে মাউরি পঞ্চম শট জালে জড়িয়েই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ক্লাবটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফরা ও সমর্থকরা। ৪২ বছর পর তারা জিতে নেয় ইউরোপিয়ান শিরোপা। তাতে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী আসরে খেলা।

টিআইএস