গেল এএফসি কাপেও বসুন্ধরা কিংস হারিয়েছিল মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনকে। তবে এবার লড়াইটা সহজ হবে না, আঁচ করতে পেরেছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজন। সেটা হলোও না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াইয়ের মুখেই পড়েছিল বসুন্ধরা কিংস। তবে নুহা মারংয়ের একমাত্র গোলে জয়টা ঠিকই তুলে নিয়েছে এএফসি কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

এবারের এএফসি কাপে দক্ষিণ এশিয়া পর্বের শুরুটা হয়েছে অঘটন দিয়ে। ফেভারিট মোহনবাগান ৪-২ গোলে গোকুলাম কেরালার কাছে হেরেছে। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে অবশ্য কোনো অঘটন ঘটেনি। বসুন্ধরা কিংস মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ১-০ গোলের কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছে। 

ম্যাচের ১১ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংস। অধিনায়ক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন এর শট গোল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ইব্রাহিমের সামনে সুযোগ আসলেও তিনি বল পাঠিয়ে দেন ওপর দিয়ে। ২৫ মিনিটে সুযোগ এসেছিল মাজিয়ার সামনেও। তবে প্রস্তুত ছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।

এক মিনিটে পর সুযোগ এসেছিল বসুন্ধরা কিংসের গাম্বিয়ান নুহা মারংয়ের সামনে। কিন্তু তিনি বলের নাগাল নেওয়ার আগেই মাজিয়ার নেপালী গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু বিপদমুক্ত করেছেন।

তবে কিরণ ৩০ মিনিটে আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি। নুহার চাতুরতায় গোল পায় কিংস। মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো বল নুহা তার উচ্চতা দিয়ে ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি, করেন চতুর এক হেডার। তাতেই বলটা গিয়ে আছড়ে পড়ে প্রতিপক্ষের জালে। ফলে ৩৩ মিনিটে লিড নেয় বসুন্ধরা।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইটা ছিল বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বনাম মাজিয়ার। গত বছরের তুলনায় এবারের মাজিয়া যে শক্তিশালী সেটা দ্বিতীয়ার্ধে বুঝেছে কিংস। গোলরক্ষক জিকো দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেছেন। না হলে যে কোনো সময় মালদ্বীপের দলটি খেলায় ফিরতে পারতো। 

দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা আক্রমণে রবসন একবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিরণ দুর্দান্ত সেভ করে পরাজয়ের ব্যবধান বাড়াতে দেননি। এক গোলের জয়ে কিংস প্রথম ম্যাচ শেষে কেরালার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে। ২১ মে তাদের পরবর্তী ম্যাচ মোহনবাগানের বিপক্ষে। 

এজেড/এনইউ