আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফিনালিসিমায় ইতালি চোয়ালবদ্ধ রক্ষণ নিয়েই শুরু করেছিল। তবে লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে লাওতারো মার্টিনেজের গোলে ভাঙল ইতালির রক্ষণ। এরপর সেই লাওতারোর বাড়ানো বলে আনহেল ডি মারিয়ার গোলে ২-০ গোলে এগিয়েই বিরতিতে গেল আর্জেন্টিনা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ম্যাচের শুরুটা করেছিল দারুণ। মাঝমাঠের দখল নেওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে আক্রমণেও উঠছিল মুহুর্মুহু। তবে ইতালিয়ান কড়া রক্ষণের সামনে সে আক্রমণ আলোর মুখ দেখছিল না তেমন।

নড়বড়ে শুরুটা সামলে নিয়ে একটু পর ইতালিও জবাব দিচ্ছিল ভালোই। প্রথম অন টার্গেট শটটা নেন গিয়ামোকো রাসপাদোরি, তা অবশ্য এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সহজেই ঠেকিয়ে দেন। ম্যাচের বয়স যখন ২০ মিনিট, তখন একটা পরিষ্কার সুযোগই তৈরি করে বসেছিল আজ্জুরিরা। বাম পাশ থেকে আক্রমণে ঢুকে মাতেও পেসিনা দারুণ এক নিচু ক্রস বাড়িয়ে বসেছিলেন আর্জেন্টাইন রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে, মাঝে থাকা বেলোত্তির কাছে বল পৌঁছালেই নিশ্চিত গোল। তবে শেষ মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো বিপদমুক্ত করেন বলটা।

এ পর্যন্ত ইতালি বেশ ভাবনায় রেখেছিল আর্জেন্টিনাকে। এরপরই ২৮ মিনিটে এল মেসির জাদুকরি মুহূর্ত। ইতালির কড়া পাহাড়া ভেঙে বাম পাশ দিয়ে আক্রমণে ওঠেন তিনি। বল বাড়ান মাঝে থাকা লাওতারোকে। সহজ ট্যাপ ইনে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন তিনি।

এরপর মুহূর্তেই ইতালি আচমকা এক শটে চেষ্টা করেছিল গোল শোধ করার। নিকো বারেলার শটটা এবারও ঠেকান মার্টিনেজ। এরপর ইতালি গোল শোধের নেশায় আক্রমণের ধার বাড়ায় আরও। আর আর্জেন্টিনা সেসব কেবল ঠেকিয়েই গেছে প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত। 

শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় লাওতারো আর ডি মারিয়ার কল্যাণে। প্রতি আক্রমণ থেকে অনেকটা ২ বনাম ৩ পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ বক্সে উঠে আসেন লাওতারো আর ডি মারিয়া। শেষ মুহূর্তে লাওতারোর পাস বক্সে একা পেয়ে যায় ডি মারিয়াকে। তার আলতো চিপ জিয়ানলুইজি ডনারুমাকে ফাঁকি দিয়ে আছড়ে পড়ে ইতালির জালে। তাতেই দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তেরা।

এনইউ