ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং সংকট কাটছেই না। বাফুফে গতকাল রেফারিদের সম্মানী ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাফুফের প্রস্তাবিত সেই সম্মানী ফি ও ভাতার অঙ্কে রেফারিরা সন্তোষ নন। ফলে তারা খেলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্তেই রয়েছেন৷ 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেফারিরা এক জুম সভা করেন৷ সেখানে দেশের শীর্ষ রেফারি-সহকারি রেফারিরা ছিলেন৷ সেই আলোচনায় রেফারিরা আগের অবস্থানেই অনড় থাকার সিদ্ধান্তে আছেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেফারি বলেন, ‘বাফুফের প্রস্তাবিত বিষয়টি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। আমরা যৌক্তিকভাবে দাবি করেছি সেটা মানা উচিত। ফুটবলার, কোচ, ফেডারেশনের অফিসিয়াল (পেশাদার এক্সিকিউটিভ) সবাই আগের চেয়ে অনেক অনেক সম্মানী পাচ্ছে। আমাদের কেন যৌক্তিক ও প্রাপ্য সম্মানী দেবে না।’

রেফারিদের দাবি ছিল প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ প্রতি সম্মানী ফি ৫ হাজার টাকা। ফেডারেশন গতকাল সেটা ২৪০০ থেকে ৩৫০০ করেছে। রেফারিরা এতে সন্তুষ্ট নন। তারা ন্যূনতম ৪৫০০ টাকা চান। ঢাকার বাইরে ম্যাচ পরিচালনা করতে যাতায়াত বাবদ ৩০০০ টাকা ও দৈনিক ভাতা ২০০০ টাকার দাবিতেই রয়েছেন রেফারিরা। গতকাল দৈনিক ভাতা ১৪০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেফারিদের এই অবস্থান তাদের মনোনীত একজন প্রতিনিধি বাফুফের রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম নেছারকে অবহিত করেছেন৷ 

বিকল্প রেফারি দিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ দুই রাউন্ড পরিচালনা করেছে বাফুফে রেফারিজ বিভাগ ও কমিটি৷ ২০ জুন থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে। রেফারিরা প্রিমিয়ার লিগে বাঁশি বাজাতে চান না, ‘২০ তারিখের আগে আমাদেরকে দাবিকৃত চাহিদা মোতাবেক প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগের ফি'র চেক প্রদান করতে হবে। সেটা ফেডারেশন করতে সক্ষম না হলে আমরা ম্যাচ পরিচালনা করব না।’ -বলেন এক সহকারী রেফারি। 

এজেড/এটি