ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমিতে গড়ে উঠেছিলেন পল পগবা। এরপর পাড়ি জমিয়েছিলেন ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে। তুরিন থেকে তাকে ফের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরিয়ে আনতে ইউনাইটেডর খরচ করতে হয়েছিল ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড। দ্বিতীয় মেয়াদে ছয় বছর রেড ডেভিলদের জার্সি গায়ে চড়ানোর পর এবার ক্লাবকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। তবে বিদায় বেলায় শৈশবের ক্লাবের প্রতি তার আবেগের চেয়ে ক্ষোভটাই বেশি চোখে পড়েছে।

পগবাকে নিয়ে নির্মিত ‘পগমেন্টারি’ নামের এক তথ্যচিত্রে ইউনাইটেডের উদ্দেশে অনেকটা হুমকির সুরেই বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি ফুটবলার বলেছেন, ‘আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে দেখিয়ে দিতে চাই তারা আমাকে দেরিতে চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে কি ভুল করেছে।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গত বছর পগবাকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সপ্তাহে ২ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড আয় করেন। নতুন চুক্তিতে এর চেয়েও বেশি বেতনে তাকে রেখে দিতে চেয়েছিল রেড ডেভিলরা। তবে এই চুক্তির প্রস্তাব আরও আগে দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মত পগবার। চুক্তির শেষ ১২ মাসে প্রবেশের পর চুক্তি নবায়নের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তিনি।

পগমেন্টারিতে এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ জানিয়ে পগবা বলেন, ‘একটা খেলোয়াড়কে কোনোমতেই ছাড়তে চান না, অথচ তাকে রেখে দেওয়ার কোনো উদ্যোগও নিচ্ছেন না। এমনটা কখনো দেখিনি।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুমে একটি বারের জন্যও দলে থিতু হতে পারেননি। ২২৬ ম্যাচ খেলে মোটে ৩৯ গোলে অবদান রেখেছেন। চোটের সঙ্গে নিত্য লড়াই আর সমর্থকদের সঙ্গে তার দূরত্বই হয়ে থাকবে এই ছয় মৌসুমে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার হাইলাইট।

পগবার সদ্য প্রয়াত এজেন্ট মিনো রাইওলা-ও সেই তথ্যচিত্রে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার দুঃসময়ের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন, ‘তুমি ফ্রেঞ্চ টিমের সঙ্গে যখন খেল তখন যেমন হাসিখুশি থাকো, আমরা সবসময় তোমাকে তেমন হাসিখুশি দেখতে চাই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তুমি যেন অন্য পগবা, এটা স্বাভাবিক নয়। ফ্রেঞ্চ টিমের সঙ্গে আসল পগবাকে দেখা যায়, জুভেন্টাসে আসল পগবাকে দেখা যায়। যে পগবাকে সবাই ভালোবাসে। ম্যানচেস্টারে কোনো একটা জিনিস তোমাকে আটকে রাখছে।’

গুঞ্জন আছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ফের জুভেন্টাসেই নাম লেখাতে যাচ্ছেন পগবা। বিয়াঙ্কোনেরিদের হয়ে তাই ফের একবার ‘আসল পগবাকে’ দেখার প্রত্যাশা করতেই পারে ভক্তরা।

এইচএমএ