জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সিলেটের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত
গত আসরে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপ হয়েছিল সিলেট জেলা দল। এবারও প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। আজ (১৮ জুন) থেকে মাদারীপুরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে। সিলেট জেলা দলের ফুটবলাররা বন্যার পানিতে বিভিন্ন জায়গায় আটকে গেছেন। ফলে গত আসরের রানার্স আপদের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত।
সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম তারপরও আশা ছাড়ছেন না, ‘আগামীকাল আমরা শেষ চেষ্টা করব। সকাল এগারোটার দিকে স্টেডিয়ামে সব ফুটবলারকে আসতে বলেছি। মোটামুটি সংখ্যক ফুটবলার আসতে পারলে আমরা দল পাঠাব।’ পরশু দিন কুমিল্লার বিপক্ষে সিলেটের খেলাটি পিছিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সিলেট ডিএফএ।
বিজ্ঞাপন
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আগামীকাল অন্তত ১২-১৩ জন ফুটবলার না আসতে পারলে সিলেট জেলা দলের ভবিষ্যত সম্পর্কে সেলিম বলেন, ‘অনেক জায়গায় পানি, ফলে আসাটা কঠিন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফুটবলার না আসতে পারলে তো আর খেলায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। তখন আমাদের ম্যাচগুলো ওয়াকওভার হয়ে যাবে।’
মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বাফুফের নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। সিলেটের এমন পরিস্থিতির মধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজন তাকে কিছুটা বিস্মিত করেছে, ‘সিলেট অঞ্চলের অবস্থা বিবেচনা করে সরকার এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করেছে। সিলেট জেলা দল গত আসরের রানার্স আপ। এই পরিস্থিতির মধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সময় সিলেটের বিষয়টি বাফুফে একটু বিবেচনা করতেই পারত।’ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে পাঁচ মাস আগে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে চূড়ান্ত পর্ব আরো কিছু দিন পরেও হতে পারত বলে তার মত।
বিজ্ঞাপন
দু’দিন আগে সিলেট ডিএফএ বন্যা পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বাফুফেকে প্রিমিয়ার লিগ ও নারী ফুটবল ম্যাচ অন্যত্র আয়োজনে চিঠি দিয়েছিল। সেই সময় সিলেট জেলা দলের বিষয়টি অবহিত করেনি। আজ যখন মাদারীপুরে টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী হয় তখন সিলেট ডিএফএ বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে। অন্য দিকে চূড়ান্ত পর্বের ভেন্যু মাদারীপুরে গতকাল নয় দল উপস্থিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি সিলেটের মানবিক দিক বিবেচনা করলেও অন্য নয় দলের উপস্থিতি বিবেচনায় টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এজেড/এইচএমএ