ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং বার্সেলোনায় থাকবেন, নাকি চলে যাবেন, এ নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। তবে এবার বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানালেন, তাদের দলের এই মিডফিল্ডার অন্যতম বিশ্বসেরা খেলোয়াড়, আর তাকে ধরে রাখতে সাধ্যের মধ্যে সবটাই করবে কাতালানরা।

নতুন কোচ এরিক টেন হ্যাগের অধীনে ডাচ এই মিডফিল্ডারকে দলে চাইছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাবেক শিষ্যের সঙ্গে একটা পুনর্মিলনী খুব করে চাইছেন টেন হ্যাগ। তবে ডি ইয়ংয়ের বাজারদর অনুযায়ী দলবদলের অর্থ নিয়ে দুই ক্লাব বর্তমানে আছে দুই মেরুতে।

কাতালান পরাশক্তিটিকে নিজেদের সুবিধামতো দামে রাজি করানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ইউনাইটেড। তবে এবার লাপোর্তা যা বললেন, সেটা রেড ডেভিলদের কিছুটা শঙ্কাতেই ফেলে দিতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, বিক্রির প্রস্তাব এলেও ডি ইয়ংকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তার দল।

এখানেই শেষ নয়; লাপোর্তা জানিয়েছেন, ইউনাইটেড ছাড়াও আরও অনেক ক্লাব দলে পেতে চাইছে ডি ইয়ংকে। গতকাল মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সা সভাপতি জানান,  ‘শুধু ম্যান ইউনাইটেডই নয়, ইউরোপের অনেক ক্লাবই তাকে দলে পেতে চায়। তবে তাকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছাই নেই আমাদের, সেও ক্লাবেই থাকতে চায়।’

লা লিগার বেধে দেওয়া বেতন কাঠামো নিয়ে সমস্যা আছে ক্লাবটির। তবে বার্সেলোনা সভাপতি জানালেন, সে সমস্যার সমাধানও তার ক্লাব খুঁজে বের করবে শিগগিরই। বললেন, ‘ফ্রেঙ্কিকে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই করব আমি। তবে বেতন নিয়ে একটা সমস্যা আছে এখন। তবে শিগগিরই এটারও সমাধান খুঁজে বের করা হবে।’

তিনি জানান, মাঝমাঠের অন্যতম বিশ্বসেরা ডাচ এই মিডফিল্ডার। তার ভাষ্য, ‘সে বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়। সে তার জায়গায় অন্যতম বিশ্বসেরা। সে দলে থাকতে চায়, বার্সেলোনাতে সে আরামেই আছে। তাকে ধরে রাখার জন্য আমি আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’

ডি ইয়ংয়ের বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি আছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। তার চুক্তি পুনর্বিন্যাসের আলোচনা শুরু হবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই, সেক্ষেত্রে বার্সেলোনায় তার বেতনের অঙ্কটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বেশ। 

এনইউ